Breaking News

দুর্গাপুজোর অনুদান সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারকে খোঁচা প্রধান বিচারপতির!অনুদান নিয়ে এবার সিএজি রিপোর্ট তলব আদালতের

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-দুর্গাপুজো উপলক্ষে পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া অনুদান নিয়ে রাজ্যকে বিঁধলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ৷ ক্লাবপিছু রাজ্য সরকার যে পুজোর অনুদান দেয়, তা নিয়ে বিদ্রুপের সুরে তিনি বলেন, “৮৫ হাজারে হয় না ৷ আপনারা ১০ লক্ষ টাকা করে দিন ৷” অনুদানের খরচের হিসাব পুজো কমিটিগুলি ঠিকঠাক দিচ্ছে কি না, তা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলকে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ।দুর্গাপুজোর অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা কোথা থেকে আসছে?‌ এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সৌরভ দত্ত নামের ব্যক্তি আগেও এই অনুদান নিয়ে মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় এবার নতুন করে আবেদন করা হয়। জনস্বার্থ মামলায় এবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই টাকার উৎস কী? তার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘‌রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে কম করে ১০ লক্ষ টাকা দিন। ৮৫ হাজার টাকায় কী হয়?’‌ দুর্গাপুজোর অনুদান সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ওই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।উল্লেখ্য,২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকারের তরফ থেকে পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া শুরু হয়। প্রথমে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হলেও করোনার সময়কাল থেকে অনুদান দ্বিগুণ করেছিল রাজ্য সরকার। এরপর ২০২৩ সালে ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর দেওয়া হচ্ছে ৮৫ হাজার টাকা। আগামী বছর অনুদান ১ লক্ষ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।অন্যদিকে এখানেই থেমে থাকেনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম আজ, সোমবার শুনানি চলাকালীন সব শোনেন। তারপর তাঁর বক্তব্য, ‘‌৮৫ হাজার টাকায় প্যান্ডেল বা পুজোর কোনও কাজই হওয়া সম্ভব নয়। এই টাকায় খুব বেশি হলে একটা তাঁবু তৈরি করা যেতে পারে। রাজ্য ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা বিলি করে ফেলেছে। ঠিক আছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত টাকা দেয় না। যেমন দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্তদের যে মাসিক টাকা দেয় সেটা পর্যাপ্ত নয়। রাজ্যের উচিত সেগুলি বিবেচনা করা।’‌

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *