Breaking News

চাকরিহারাদের দুই পক্ষের অবস্থান এসএসসি ভবনের সামনে!বাক্যবিনিময় চলল যোগ্য ও অযোগ্যদের মধ্যে

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নতুন করে উত্তেজনা এসএসসি ভবনের সামনে। এবার চাকরিহারাদের দু’পক্ষ মুখোমুখি, যুযুধান। এক দিকে ‘ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন টিচিং ফোরাম’, অন্য দিকে ‘জাস্টিস ফর আনটেন্টেড টিচার্স অ্যান্ড নন-টিচিং স্টাফ’। মাইক বাজানো নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে চড়ল পারদ।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাত্র ৫০০ মিটারের ব্যবধানে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলনের দুই ভিন্ন ছবি দেখা যাচ্ছিল। ওএমআরে সমস্যা থাকায় যাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এসএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের প্রশ্ন, যেখানে আদালতে ওএমআরে কারচুপির বিষয়টি এখন‌ও প্রমাণিত হয়নি, সেখানে এসএসসি কী করে তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে দাগিয়ে দিয়ে বেতন বন্ধ করে দিতে পারে? এই নিয়ে এসএসসি ভবনের অদূরেই পৃথক অবস্থানে বসেন তাঁরা। অন্য দিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে চাকরিহারাদের অবস্থান বিক্ষোভ এখনও চলছে। চতুর্থ দিনে লোকসংখ্যা আগের তুলনায় খানিক কমলেও আন্দোলনের আঁচ কমেনি। প্রবল গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন। বুধবার ‘যোগ্য’দের তালিকা দেখার পর বৃহস্পতিবার থেকে স্কুলমুখীও হতে শুরু করেছেন কেউ কেউ। চাকরিহারা এক শিক্ষিকা সঙ্গীতা মণ্ডল বলেছেন, ‘‘অযোগ্যদের যতক্ষণ না বাদ দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।’’সোমবার থেকে স্লোগান-বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল যে চত্বর, বৃহস্পতিবার সকাল অবধি সেই চত্বর প্রায় শান্তই ছিল। কারণ, যাঁদের নাম তালিকায় রয়েছে, সেই ১৫ হাজার ৪০৩ জন ‘নন-টেন্টেড’ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এ বার স্কুলে যেতে হবে, ক্লাস নিতে হবে। তবে বেলা বাড়তেই অন্য ছবি। ফের সরগরম হয় এলাকা। ময়ূখ ভবন থেকে চাকরিহারাদের একটি দল মিছিল করে এসএসসি-র কার্যালয় আচার্য সদনের সামনে আসেন।ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন টিচিং ফোরামের ব্যানারে এই মিছিল হয়। তাদের দাবি, কর্মচ্যুত বৈধ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের পুনর্বহাল করতে হবে। এ রকম কয়েক হাজার চাকরিহারা এ দিন আচার্য সদনের সামনে অবস্থানে বসেন।তবে বিকেলের পরিস্থিতি আরও কিছুটা উত্তপ্ত হয়। গার্ড রেলের একপাশে বসে ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন টিচিং ফোরামের সদস্যরা। আরেক দিকে সোমবার থেকেই এখানে বসে আছেন, এমন কয়েক জন। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে চড়তে থাকে পারদ। শিল্পা কুণ্ডুর দাবি, ‘তিন দিন ধরে ওরাই তো রাস্তায় ছিল, আমরা তো আসিনি। আজ আমরা আসতেই ইচ্ছা করে মাইক বাজাচ্ছে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *