‘দানা’র দাপটের মাঝেই ফের মুখ্যসচিবকে ৬ দফা দাবি নিয়ে ইমেল জুনিয়র ডাক্তারদের! এবার বিষয় সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিসাধন

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ফের ইমেল করলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর তরফ থেকে একটি ইমেল করা হয়েছে মুখ্যসচিবকে। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর তাঁরা ইমেল করেন মুখ্যসচিবকে। তবে ইমেলের শুরুতেই ঘূর্ণিঝড় দানা সর্ম্পকে লেখেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।চিকিৎসকরাতাঁরা লেখেন, “মাননীয় আপনি দানা ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। আমরাও প্রস্তুত আছি। তবে কিছু জিনিসের উপর জোর দেওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।”মূলত জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন ৬টি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন ইমেলে। সেখানে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কী করে উন্নতি করা সম্ভব, তা জানিয়েছেন তাঁরা।
সেগুলি হল—
কেন্দ্রীয়ভাবে সব সরকারি হাসপাতালে খালি শয্যার নজরদারি শুরু করতে হবে। রাজ্য সরকার পাইলট প্রজেক্ট শুরু করলেও তা নিয়ে খুশ নন ডাক্তারেরা। খালি শয্যার উপর নজরদারি ঠিক না হলে ‘রেফারেল’ পদ্ধতি কাজ করবে না। এক মাসের মধ্যে সেই ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

দুর্নীতি রোধ করতে এবং হুমকি সংস্কৃতি বন্ধ করতে প্রতি ঘণ্টায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালে খালি শয্যার সংখ্যা জানাতে হবে। হাসপাতালের কার্যকলাপ মসৃণ ভাবে চালাতে এবং রোগীর কল্যাণে এই ব্যবস্থা আবশ্যিক।

কেন্দ্রীয় ‘রেফারেল’ পদ্ধতি (সিআরএস)-র খামতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তারেরা। সিআরএস দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। এক, রেফার করা হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা রয়েছে কি না। দুই, রেফার করা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, ওষুধ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন তা ওই হাসপাতালে রয়েছে কি না।

কেন্দ্রীয় ‘রেফারেল’ পদ্ধতি পরিচালনার জন্য ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করতে হবে।

হাসপাতালগুলির ধারণ ক্ষমতা কেমন সেই নিয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারকে মূল্যায়ন করতে হবে। তার উপর ভিত্তি করে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ করতে হবে।

রেফার করা হাসপাতালে কোনও পরিষেবা উপলব্ধ না হলে কোথায় সেই পরিষেবা পাওয়া যেতে পারে সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য বোর্ড টাঙাতে হবে। এর ফলে রোগীর পরিবার বিভ্রান্তি এড়াতে পারবেন।

ইমেলের শেষে লেখা হয়েছে এই ব্যবস্থাগুলি ঐচ্ছিক নয়, রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঠিক কার্যকারিতার জন্য বাধ্যতামূলক। মুখ্যসচিবকে টাস্ক ফোর্স এবং উপরোল্লিখিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনায় বসার আবেদন জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
তাঁদের মতে, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের স্বার্থে এসব এখনই প্রয়োগ করা জরুরি। এনিয়ে মুখ্যসচিবের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ আশা করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।