দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রীকে দিয়ে জুতো পরিষ্কার করিয়ে বিতর্ক তৈরি করলেন শিক্ষিকা। এই অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উঠতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায় লস্করপুরের প্রাথমিক স্কুলে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসতেই আজ, শনিবার লস্করপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেরাও করেন অভিভাবকরা। স্কুলের মধ্যে শিক্ষিকার এই ঘটনা ঘটানোকে চেপে যেতে চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীকে ভয় পর্যন্ত দেখানো হয়েছিল। যাতে সে মুখ না খোলে। কিন্তু অবশেষে সেই ছাত্রী মুখ খুলে ফেলে অভিভাবকের সামনে। তার জেরেই ক্ষোভ ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা।অভিভাবকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ এবং স্কুল পরিদর্শকের প্রতিনিধিরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে। পঠনপাঠন শুরু হয় স্কুলে।স্কুল সূত্রে খবর, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুলে আসার সময় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর জুতোয় নোংরা লেগে গিয়েছিল। হাঁটাচলার সময় ভুলবশত ওই ছাত্রীর জুতো অভিযুক্ত শিক্ষিকার জুতোয় লেগে যায়। অভিযোগ, তাঁর জুতোও নোংরা হয়ে যাওয়ায় ওই ছাত্রীকে নিজের জুতো পরিষ্কার করতে দেন ওই শিক্ষিকা। পরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সেই ঘটনার কথা মাকে জানায় ওই ছাত্রী। বিষয়টি জানাজানি হতেই শনিবার সকালে স্কুলে জড়ো হন অভিভাবকেরা। স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার সঙ্গেও বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অভিভাবকেরা।অভিযুক্ত শিক্ষিকা ত্রিনয়নী সাহা কুন্ডু অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রীর পায়ে লেগে থাকা নোংরা অসাবধানতাবশত আমার জুতোতেও লেগে যায়। সে যখন জুতো ধুতে যাচ্ছিল, তখন আমি বলেছিলাম, আমার জুতো তুই পরিষ্কার করে দিস। আমি অনুরোধই করেছিলাম। জোর করে জুতো ধুইয়ে নিয়েছি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ওই ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেটার দাবি তুলে সুব্যবস্থার আবেদন করে বিক্ষোভকারী অভিভাবকরা। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে পড়ে যে ঘটনাটি নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন অফিসাররা।