দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যোগ্য পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে না গিয়ে ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এই পড়ুয়ারা সাইবার অপরাধের শিকার বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একাদশ, দ্বাদশের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয় রাজ্যে সরকারের তরফে। এর জন্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পড়ুয়াদের তালিকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ রাজ্যে শিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠায় সরকার। তাই কীভাবে এক অ্যাকাউন্টের জায়গায় অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা গেল, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী |বৃহস্পতিবার শিক্ষা দপ্তরের সচিবকে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পটি রাজ্য সরকারের অন্যতম সেরা প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এইক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি বরদাস্ত করা হবে না। সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে ভবিষ্যতে অর্থ বণ্টনের ক্ষেত্রে। হ্যাকের ফলে যাদের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবিলম্বে টাকা পাঠানোর নির্দেশও মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন।উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪টি স্কুলে অভিযোগ ওঠে, সেখানকার অনেকেই ট্যাবের টাকা পাননি। তদন্তে নেমে জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জানতে পারেন, ওই ৪টি স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মোট ৭০ জন ছাত্রছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর হ্যাক করে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। এরফলে ফলে সরকার ট্যাবের টাকা পাঠালেও প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে তা চলে গিয়েছে। এই আবহে যে সব স্কুলের পড়ুয়ারা এই সাইবার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নির্দিষ্ট থানায় গিয়ে এফআইআর অথবা জেনারেল ডায়েরি করতে বলা হয়। সেই এফআইআর বা জিডির প্রতিলিপি জেলা স্কুল পরিদর্শকে দ্রুত পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল |এর মাঝেই আবার অভিযোগ ওঠে এখনও বেশ কিছু স্কুলে। এই ধরনেরই অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর কাজীপাড়া হরিদাস বিদ্যাভবনের পড়ুয়ারা। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বক্তব্য, আশেপাশের সব স্কুল ট্যাব কেনার টাকা পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তাদের এখনও ট্যাবের টাকা দেওয়া হয়নি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal