প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-ফের কলকাতায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক স্কুলপড়ুয়ার। মঙ্গলবার সল্টলেকে দু’টি বাসের রেষারেষিতে মৃত্যু হল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের। মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে স্কুটিতে চেপে ফিরছিল শিশুটি। সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের সামনে সল্টলেক-হাওড়া রুটের বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে যায় সে। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার জেরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়েরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ উল্টোডাঙা-সল্টলেকের প্রবেশের দুনম্বর গেটের কাছে ঘটেছে দুর্ঘটনাটি। সল্টলেক বিডি ব্লকের একটি বেসরকারি স্কুলের ছুটির পর দুই ছাত্রকে স্কুটিতে চাপিয়ে কলকাতার বাড়ির পথে ফিরছিলেন এক অভিভাবক। সেই সময় সল্টলেকের দুনম্বর গেটের কাছে বেসরকারি ২১৫ এ রুটের দুটি বাসের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। সেই রেষারেষির জেরে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন স্কুটি চালক।অভিযোগ, একটি বাস ধাক্কা মারে স্কুটিতে। পড়ুয়া-সহ রাস্তায় আছড়ে পড়েন বাইক চালক। তাতে পিচ রাস্তায় গুরুতর জখম হন তিনজনে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে উল্টোডাঙায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই এক খুদে পড়ুয়ার অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পর তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই মৃত্যু ঘটে ওই পড়ুয়ার। নাম আয়ুষ পাইন। বয়স ১১ বছর। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া সে| এরপরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা। উল্টোডাঙার হাডকো মোড়েই জমায়েত করে চলে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। পরে দেহ রাস্তায় রেখে চলে বিক্ষোভ। ভাঙচুর করা হয় বাসে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ করা হয় রাস্তা। ভাঙচুর করা হয় বাস। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তেজিত জনতার ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। তার জেরে প্রবল যানজট তৈরি হয়।