প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ কাণ্ডে সিবিআইয়ের করা মামলাতেও জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই মামলার শুনানির সময়েও বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন পার্থের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার বিচার ভবনের বিশেষ সিবিআই আদালতের ১ নম্বর এজলাসে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারকের প্রশ্ন, “আপনি বেঞ্চ নিয়ে এত ভাবছেন কেন?” একই সঙ্গে বিচারকের সংযোজন, “আপনি শুধু শুধু আদালতের সময় নষ্ট করছেন। কোন আদালতে মামলা থাকবে, সেটা আপনি ঠিক করবেন না।”
ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন অয়ন শীলও। এদিন ভার্চুয়াল আদালতে জামিনের আবেদনের প্রসঙ্গে কার্যত ভেঙে পড়েন পার্থ। আদালতের উদ্দেশ্যে কাতর আর্তি জানিয়ে বলেন, “আমি কিছু করিনি। বোর্ড করেছে… আমাকে বাঁচান…”পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বৃহস্পতিবার আদালতকে জানায়, মন্ত্রী হিসেবে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন পার্থ। তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না। নিয়োগের বিষয় পুরো দেখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এস বসু রায় সংস্থার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ নেই। উনি ৭৩ বছর বয়সের ব্যক্তি। অসুস্থ। যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক।
সিবিআই আদালতকে আরও জানিয়েছে, “এই মুহূর্তে তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখার কাজ চালাচ্ছি। সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে জামিন পেলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”এদিন আদালতে পার্থ নিজে বলেন, “আমি নির্দোষ। আমি কিছুই করিনি। যা করেছে বোর্ড করেছে। আমাকে জামিন দিন। আমাকে বাঁচান…। ট্রায়াল শুরু হচ্ছে না। কত দিন আটকে থাকব?” এর পরই জামিনের বিরোধিতা করেছে সিবিআই। তাঁদের আইনজীবী বলেন, ১৫২ জন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। বিভিন্ন এজেন্ট মারফত টাকা তুলে ৭৫২ জন অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। ৩১০ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। আর এই তালিকা পার্থ নিজে পাঠিয়েছিলেন বলেই অভিযোগ। ফলে এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন দিলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে বলেই দাবি সিবিআইয়ের।