দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা। অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে ওই ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠিয়ে উত্যক্ত করছিলেন কলেজের এক শিক্ষক। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে অভিযুক্ত শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।বিক্ষোভকারীদের দাবি, কলেজের শারীরশিক্ষা বিভাগের এক অধ্যাপক গত কয়েক মাস ধরে কয়েকজন ছাত্রীকে অশালীন মেসেজ পাঠাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরির চেষ্টা করছেন। ঘনিষ্ঠ হতে রাজি হলে বিশেষ সুযোগ – সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখাচ্ছেন তিনি। বিষয়টি জানিয়ে বুধবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ছাত্রী। এর পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা | এক ছাত্রী বলেন, গত মে – জুন মাস থেকে এটা শুরু হয়েছে। উনি কয়েকজন ছাত্রীকে লাগাতার অশালীন মেসেজ করে চলেছেন। তাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। প্রস্তাবে রাজি হলে বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেবেন বলে প্রলোভন দিচ্ছেন। বিষয়টা নিয়ে কলেজে অনেকদিন ধরেই কানাঘুষো চলছিল। কিন্তু বুধবার এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর গোটা বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। এর পর মেসেজগুলি হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হয়ে যায়।বৃহস্পতিবার স্কটিশ চার্চ কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সেখানে স্বাক্ষর রয়েছে অধ্যক্ষের। বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করার বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখানে এ-ও জানানো হয়েছে যে, কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না-নেওয়া পর্যন্ত এই ‘সাসপেনশন’ বহাল থাকবে।