দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি, বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে, এই দু’টি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে। আজ দেশের সর্বোচ্চ আদলত সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল।আগামী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায়। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়েছেন, আগামী শুনানিতে মূলত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। অহেতুক মামলাটিকে জটিল করা হবে না। এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করা হবে না কি অযোগ্যদের বাদ দেওয়া হবে সেই দুটি বিষয় নিয়েই পরবর্তী শুনানিতে আলোচনা হবে। সুপ্রিম কোর্টে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা জানি সমস্যাটা কোথায়- আগামী বৃহষ্পতিবার সকালে শুনানি হবে৷ এখানে বিচার্য বিষয় হলো পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি প্রদান করা হবে৷ অযোগ্যদের বাছাই করে চাকরি বাতিল করা হবে। বিষয়টি মারাত্মক জটিল নয়৷’ চাকরি বাতিল মামলা উঠেছিল বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি করা হবে। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমার দু’টো বিষয় বিবেচনা করব। অহেতুক বিষয়টি নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না।’’ কী সেই দু’টি বিষয়, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি, বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে, এই দু’টি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে।