দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- অবশেষে বন্দি জিনাত। কদিনের লুকোচুরি শেষে রবিবার দুপুরে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ধরা পড়ল ওড়িশা থেকে আসা বাঘিনি। তাকে কাবু করতে শনিবার থেকে তাকে লক্ষ্য করে বার বার ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। রাতভর জ়িনতকে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা করেন বনকর্মীরা কিন্তু কিছুতেই বাগে আনা যায়নি। বন দফতর সূত্রে খবর, রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ফের জ়িনতকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়েন বনকর্মীরা। সেই গুলি লাগে বাঘিনির গায়ে। তাতেই কাবু হয় সে। পরে তাকে ধরে আনা হয়।এরপর অত্যন্ত সন্তর্পনে বাঘিনীকে গোঁসাইডিহি এলাকায় জালে পোরা হয় । প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে সেই বাঘিনী সুস্থ রয়েছে। তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। শুক্রবার অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর ওড়িশা থেকে ঝাড়গ্রামে প্রবেশ করেছিল জিনাত। পরের দিন অর্থাৎ গত শনিবার রাতে সে পৌঁছেছিল বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ে। টানা সাতদিন সেখানে ঘাঁটি গেড়ে থাকার পর শুক্রবার অবস্থান বদলে ঢুকে পড়েছিল মানবাজারে।
শনিবার ভোরে আলো ফুটতেই বদলে যায় বাঘিনির অবস্থান। বন দফতর তখন বলে, জিনাতের গলায় লাগানো থাকা রেডিও কলার থেকে জানা গিয়েছে শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার গোপালপুর গ্রামের জঙ্গলে রয়েছে সে। রীতিমতো নাস্তানাবুদ করা যাকে বলে। সূত্রের খবর, বাঘ ধরার কাজে নিয়োজিত এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বাঘিনী আপাতত সুস্থ রয়েছে। বাঘিনীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাঘ আমরা ধরেছি। গত ৮দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় বাঘটা ছিল। বিভিন্ন টিম কাজ করছিল। অবশেষে বাঘটি ধরা পড়েছে। এদিকে এই বাঘিনীকে ধরতে না পারাটা কার্যত বনদফতরের কাছে মর্যাদার লড়াই। বার বার বাঘবন্দির কাজে ফেল করছিল বনদফতর। অবশেষে ধরা পড়ল বাঘিনী। খাঁচাবন্দি হল। আপাতত তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal