দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- এসএসসিতে ২৬ হাজার নিয়োগ মামলায় প্যানেল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষার সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী তথা সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর এই আবেদনের জেরে পার্টির মধ্যেই বিরোধিতার মুখে পড়লেন বিকাশবাবু।এসএসসি’তে ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর প্যানেল বাতিল করা হোক এবং নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মন্তব্য করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সিপিএম নেতার এই মন্তব্যের বিরোধিতা করল সিপিএমেরই ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং দলের শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ। এই বিষয়ে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী নিয়ে আমাদের মনোভাব স্পষ্ট, এখানে যোগ্য–অযোগ্যদের আলাদা করতে হবে। যাঁরা যোগ্যতার নিরিখে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি চলে যাবে, এটা হতে পারে না। প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল প্রস্তুত করতে তিনবছর সময় লেগে যাবে। সেক্ষেত্রে স্কুলগুলি শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়বে। যাঁরা যোগ্য তাঁদের চাকরি কাড়া যাবে না। যাঁরা অযোগ্য তাঁদের বরং আবার পরীক্ষা নেওয়া হোক।’এসএফআই–এর এই যুক্তি অনেকেই মেনে নিচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসও এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেনি। এসএফআই নেতৃত্ব এভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আইনজীবী হিসাবে যে মন্তব্য করেছেন, সেটা তাঁর নিজস্ব বক্তব্য। কিন্তু প্যানেল বাতিলের পক্ষে নয় এসএফআই। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও বিকাশবাবুর মন্তব্যকে সমর্থন করেননি। আর সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এনেছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কিন্তু কারও যোগ্য চাকরি বাতিল করা যাবে না। পরীক্ষা দিয়ে পাস করে নিজের যোগ্যতায় যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, দুর্নীতির চাকরি হিসাবে তাঁদের গণ্য করা যাবে না।’ আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক থাকতে পারে। শেষে কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু যোগ্য-ন্যায্য কারও চাকরি যেন খারিজ না হয়, দাবি সুজনের।
