প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি:-সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পাইপে করে রান্নার গ্যাস সরবরাহ আগামী তিন মাসের মধ্যে হুগলি জেলার বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয়ে যাবে। এমনই আশার কথা শুনিয়েছেন বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। হুগলির রাজারামবাটি পর্যন্ত গেইলের পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস চলে এসেছে। সেখান থেকে পাইপে করে গ্যাস নিয়ে গিয়ে চন্দননগর, বাঁশবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, কোদালিয়া–সহ কলকাতা লাগোয়া হুগলি জেলার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সরবরাহ করবে রাজ্য সরকারের গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন ও গেইলের যৌথ সংস্থাটি।প্রসঙ্গত, হুগলি জেলায় এই গ্যাস সরবরাহের কাজ করছে গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন ও গেইলের যৌথ সংস্থা। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই কোদালিয়ার ৫০টি মতো বাড়িতে জিআই পাইপ বসানো সম্পন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয়, কয়েকটি বাড়িতে মিটার লাগানোও হয়েছে। সেই মিটারের মাধ্যমে গ্যাসের ব্যবহার বোঝা সম্ভব হবে। জানা গিয়েছে, গ্যাস বাড়িতে বাড়িতে সরবরাহের আগে প্রেসার কমানোর জন্য সেখানে একটি প্লান্ট বসানো হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই কোদালিয়া পঞ্চায়েতের তরফে জমি দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে গ্যাসের জন্য বসানো হচ্ছে পলিথিনের পাইপ।জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বসেছে চন্দননগরে। সেখানে ৪৩ কিলোমিটার পলিথিনের পাইপ বসেছে। বাঁশবেরিয়ায় ২৩ কিলোমিটার, শ্রীরামপুরে ৩ কিলোমিটার পলিথিনের পাইপ বসেছে। এছাড়া, উত্তরপাড়ায়ও বসেছে পাইপ। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে সেখানে ৮৬ কিলোমিটার পলিথিনের পায়ে বসানো হয়েছে বলে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি সূত্রে জানা যাচ্ছে।বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কোদালিয়াতে দ্রুত গতিতে পাইপ বসানোর কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে ৫০টির মতো বাড়িতে গ্যাসের জিআই পাইপও বসানো হয়েছে। কয়েকটি বাড়িতে লাগানো হয়েছে মিটার। সরবরাহ হওয়ার আগে গ্যাসের প্রেসার কমানোর জন্য প্লান্ট বসাতে কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের জমি দিয়েছে।’
