প্রসেনজিৎ ধর :- ত্রিবেণী কুম্ভমেলার চতুর্থ বর্ষের সূচনা হল। পুণ্যস্নানের ব্যবস্থা তো আছেই। পাশাপাশি আয়োজন হয়েছে নগরকীর্তন, শক্তিপীঠ পরিক্রমা, রুদ্র অভিষেক, রুদ্র মহাযজ্ঞ, শিব সহস্র নাম, সাধু প্রবচন ও ধর্মসভার।সপ্তর্ষি ঘাটে সন্ধেয় হবে গঙ্গা আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাগা সাধুদের আখড়াও হয়েছে ত্রিবেণীতে।১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গীয় কুম্ভস্নান মহোৎসব। ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। হুগলি জেলার ত্রিবেণীতে এই উৎসব শুরু হয়েছে। বহু সাধুসন্ত এসেছে। দলে দলে আসছেন পূণ্যার্থীরা। রাজ্য সরকারও নানাভাবে সহযোগিতা করছে। ত্রিবেণীর সপ্তর্ষিঘাটে হবে কুম্ভস্নান। শাহি স্নান। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সাধুরা এই ঘাটে প্রথম স্নান করবেন। তারপর সাধারণ মানুষ এই ঘাটে স্নান করতে পারবেন। সুরক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি নগর পরিক্রমা হবে। স্থানীয় কাউন্সিলর প্রশান্ত দাস জানিয়েছেন, মেলাতে যাঁরা আসছেন তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। প্রায় সাতশো বছর আগে হুগলির ত্রিবেণীতে গঙ্গা যমুনা সরস্বতীর সঙ্গমে কুম্ভ বসত বলে জনশ্রুতি। গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তি শেষে ফেরার পথে সাধু-সন্ন্যাসীরা পায়ে হেঁটে ত্রিবেণী সঙ্গমে মিলিত হতেন মাঘী পূর্ণিমায়। সেখানে একদিনের কুম্ভ হত, যাকে অণুকুম্ভ বলা হয়। মিনি কুম্ভও বলা হয়। বহুদিন বন্ধ থাকার পরে সেই কুম্ভ আবার শুরু হয়েছে চার বছর আগে। আজ, আগামীকাল ১২ ফেব্রুয়ারি (মাঘী পূর্ণিমা) ও পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি– এই তিন দিন ধরে বহু মানুষের সমাগম হয় ত্রিবেণীতে। গঙ্গার ঘাটে আগামীকাল হবে বিশেষ পুন্যস্নান। তার আগে নাগা সাধুদের নগর পরিক্রমাও রয়েছে। যাকে ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতা রয়েছে। প্রয়াগে দুর্ঘটনা দেখে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal