দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-বিমানবন্দরগামী মেট্রোর কাজে বড় জট বাইপাসে। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর কাজের জন্য রাস্তা কিছুটা বন্ধ রাখতে হবে। আর ব্যস্ততম রাস্তা বন্ধ করে কাজ করার ক্ষেত্রে অনুমতির বড় সমস্যা দেখা গিয়েছে বলে খবর। আসলে মূল সমস্যাটা বাইপাসে। চিংড়িঘাটার কাছে গার্ডার উত্তোলন করতে হবে। এজন্য় অনুমতি লাগবে। কারণ গার্ডার উত্তোলন করতে গেলে রাস্তা বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু সেই অনুমতি মেলেনি বলে খবর। মেট্রো কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কলকাতা পুরসভা এবং ট্র্যাফিক বিভাগের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করার পরেও শেষ মুহূর্তে অনুমতি দিতে
গিয়ে পিছিয়ে আসছে কলকাতা পুলিশ। অনুমতি না মেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই মেট্রোর রুবি থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত অংশের সম্প্রসারণের কাজ প্রায় এক বছর ধরে থমকে আছে। মেট্রো সূত্রের খবর, চিংড়িঘাটা মোড়ের কাছে ওই মেট্রোপথের ৩১৭, ৩১৮ এবং ৩১৯ নম্বর স্তম্ভের উপরে গার্ডার উত্তোলনের কাজ না হওয়ায় ৩৬৬ মিটার অংশ সংযুক্তির কাজ করা যাচ্ছে না।কলকাতা পুরসভা এবং ট্র্যাফিক বিভাগের সঙ্গে একাধিক দফায় আলোচনার পরে চিংড়িঘাটা মোড়ে যান চলাচল বন্ধ রাখার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ই এম বাইপাসের ক্যাপ্টেন ভেড়ি এবং ধাপা লক পাম্পিং স্টেশনের ( ডি এল পি এস) এলাকার মধ্য দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অনুমতি দেয় পুরসভা। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ওই অনুমতি মেলে।এর পরে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ওই মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আর ভি এন এল) পক্ষ থেকে ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দু’দফায় ওই কাজ করার অনুমতি চাওয়া হয়। গত ২০ জানুয়ারি এই মর্মে আর ভি এন এল এবং ট্র্যাফিক বিভাগের আধিকারিকদের দল যৌথ ভাবে বিকল্প ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করে। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও কিছু কাজের সুপারিশ করা হয়। যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে ফের ৩ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাতে দু’দফায় ওই কাজ সম্পূর্ণ করার অনুমতি চাওয়া হয় মেট্রোর তরফে। এর জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দু’তরফের বৈঠক হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দু’দিনের মধ্যে ওই কাজের অনুমতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।এদিকে এই রুটেরই এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় মেট্রোর নানা কাজ চলছে। আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই। ধাপে ধাপে রূপ পাচ্ছে এই রুটের মেট্রো পথের। অন্যদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, এবারের বাজেটে একধাক্কায় ৫৩.৫ শতাংশের মতো বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোয়। ২০২৪-২৫ সালের বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১,৭৯১.৩৯ কোটি টাকা। সংশোধন করে সেটা ১,৫৫০ কোটি টাকা করা হয়। আর ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে সেটা একেবারে কমিয়ে ৭২০.৭২ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। যে অংশের নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত আপাতত মেট্রো পরিষেবা চালু আছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দমদম বিমানবন্দর-নিউ গড়িয়া ভায়া রাজারহাট মেট্রো রুটের জন্য মাত্র ৭২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আগের বার ওই প্রকল্পে সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৫৫০ কোটি টাকা।
