দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা এখনও পেন্ডিং আছে তা বৃহস্পতিবার জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ২০১৩ সালে গ্রেফতার হন সুদীপ্ত। সেই থেকেই তিনি জেলবন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে বহু মামলা হয়েছে। বেশ কিছু মামলায় জামিনও পেয়ে গিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে সুদীপ্ত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে কারা দফতর মারফত কলকাতার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি ১৮ পাতার চিঠি জমা দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জানান, আমানতকারীদের কাছ থেকে নেওয়া কোটি কোটি টাকা কী ভাবে ‘লুট’ হয়। বিরোধী দলের কয়েক জন নেতা এবং তাঁর নিজের সংস্থার কয়েক জন কর্মী কী ভাবে টাকা নিয়েছিলেন, তা-ও জানিয়েছিলেন সুদীপ্ত। সেই চিঠি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। বৃহস্পতিবার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে হওয়া মামলার শুনানিতে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট।সারদার তদন্ত এগোচ্ছে না, বিচার হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে সংশোধনাগার থেকে বন্দি হিসেবে হাইকোর্টে প্রিজনার্স পিটিশন দাখিল করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। এরপর হাইকোর্ট রাজ্য সরকার ও সিবিআইয়ের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চায়। আদালতের প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই জানায়, তারা সারদা সংক্রান্ত সব মিলিয়ে ৭৬টি মামলার তদন্ত করেছে। সুদীপ্তর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, সিবিআইয়ের পাশাপাশি রাজ্যও সারদা নিয়ে তদন্ত করছে। প্রায় ১২ বছর পরে বালুরঘাটে নতুন মামলা শুরু হয়েছে। তবে সিবিআইয়ের পাশাপাশি রাজ্য একই ক্ষেত্রে একই বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে পারে না। রাজ্যের তরফে কয়েক মাস আগে হাইকোর্টে জানানো হয়, রাজ্য পুলিশের ২২টি মামলায় এখনও সুদীপ্ত সেনের জামিন হয়নি। অন্য রাজ্যে সুদীপ্তর নামে ১৭টি প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এখনও বকেয়া রয়েছে। বালুরঘাটেও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ফলে সেগুলি নিস্পত্তি হবে তারপর পুরোটা বলা যাবে।
