প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-ট্যাংরার নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের তদন্তে। এরই মধ্যে বিরাট বয়ান দিল দুর্ঘটনায় আহত নাবালক। রাজ্য শিশু কমিশনের সদস্যদের সে জানিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা হয় তাকে। মৃতের অভিনয় করে পড়ে ছিল | আর তাকে খুনের চেষ্টা করে কাকা প্রসূন দে। এদিকে শিশু সুরক্ষা কমিশন চাইছে হোমে না পাঠিয়ে নাবালককে কোনও আত্মীয়র কাছে রাখতে। তা নিয়ে এখনও জারি টানাপোড়েন।বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে ট্যাংরাকাণ্ডে জখম নাবালকের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। বেরিয়ে এসে অনন্যাদেবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ও জানতে পেরেছিল বাবা ও কাকা মা ও কাকিমা একটা সমঝোতা করেছিল। কিন্তু শেষ বেলায় মা ও কাকিমা আত্মহত্যা করতে অস্বীকার করে। তখন কাকা জোর করে তাদের খুন করে। নাবালককেও মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেছিল কাকা। কিন্তু নাবালক যোগব্যাম করায় শ্বাস ধরে রাখতে পারে। কাকা মুখে বালিশ চেপে ধরলে শ্বাস বন্ধ করে মরার অভিনয় করে সে। ফলে কাকা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর দোতলায় উঠে দেখে মা – কাকিমা ও খুড়তুতো বোনের দেহ পড়ে রয়েছে। এর পর সে ছাদে গিয়ে দেখে বাবা ও কাকা আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছে। তারও আত্মহত্যা করা উচিত বলে নাবালককে বোঝায় তারা। তাতে রাজিও হয়ে যায় নাবালক। গভীর রাতে যখন তারা গাড়ি নিয়ে বেরোয় তখন প্রণয় ও প্রসূনের সিদ্ধান্ত বদলে যায়। নাবালককে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলে ২ ভাই। কিন্তু নাবালক তাতে রাজি হয়নি। সে জানায়, তার ভালোবাসার সবাই মরে গিয়েছে। সে আর বেঁচে থেকে কী করবে?’এসব শোনার পর শিশু সুরক্ষা কমিশন নাবালককে হোমে পাঠাতে চায় না। প্রসূনের শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে নাবালককে রাখতে চায় তাঁরা। বৃহস্পতিবারই তাঁদের সঙ্গে কমিশন কথা বলবে। সরকারি স্কিমে এই নাবালক সাবালক হওয়া পর্যন্ত মাসে মাসে মাসোহারা পাবে। তবে তাঁরা এই দায়িত্ব নিতে রাজি না হলে অন্য পরিবারের খোঁজ করা হবে।
