প্রসেনজিৎ ধর :- ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগ মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে রায় ঘোষণা করেছে শীর্ষ আদালত। মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট তার ফলে। পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়ায় চাকরি হারালেন ২৬ হাজার জন। এমন অবস্থায় চকারিহারারা যেমন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন, তেমনি রাজ্যের স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন নিয়েও উদ্বেগ বেড়েছে শিক্ষা দফতরের। প্রশ্ন উঠেছে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে |এরকমই মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর হাই স্কুল। ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ায় অর্জুনপুর হাই স্কুলে চাকরি বাতিল হল ৩৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার ।জানা গিয়েছে, ফরাক্কা অর্জুনপুর হাই স্কুলের মোট শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা ৬০ জন। পার্শ্বশিক্ষক ৭ জন। মোট পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের বেশি। বাতিল হওয়া শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা বাদ দিলে এখন মোট শিক্ষক ও শিক্ষিরার সংখ্যা ২৪ জন। সেক্ষেত্রে সমস্যার মুখে ফরাক্কা অর্জুনপুর হাই স্কুল। এরই মধ্যে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখা রয়েছে। এক ধাক্কায় এত জন শিক্ষক শিক্ষিকা চলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া ফরাক্কার বাহাদুরপুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলটি মূলত আদিবাসী, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৬ জন। ৯ শিক্ষক ও ৩ জন প্যারাটিচার ছিলেন এতদিন। আজ, শীর্ষ আদালতের রায়ে বাতিল হল ৪ শিক্ষক ও একজন অশিক্ষক কর্মীর চাকরি। অন্যদিকে, ফরাক্কার একমাত্র মহিলা স্কুল স্বর্ণময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের ১৭০০ জন ছাত্রীকে পড়ানোর ভার ছিল দশজন শিক্ষিকার উপর। তার মধ্যে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৫ জনেরই চাকরি বাতিল হয়েছে। চাকরি খুইয়েছেন এক অশিক্ষক কর্মীও।প্রসঙ্গত, এই রকম সমস্যা আরও অনেক স্কুলেই দেখা দিচ্ছে।
