Breaking News

ডিআই অফিসে গিয়েছিলেন কেন? লাঠিচার্জ নিয়ে পালটা প্রশ্ন ব্রাত্যর,মমতাকে লেখা চিঠি ছিঁড়লেন অভিজিৎ, ব্রাত্যর সঙ্গে সাক্ষাতেও ‘না’!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর পুলিশের লাঠি ও লাথিকে নিন্দা করলেও তাদের আন্দোলনের দিনক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার দুপুরে বিকাশ ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, আন্দোলন করার জন্য তো দিন পড়ে রয়েছে।চাকরিহারাদের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, “পুলিশ-প্রশাসন কী করেছে বলতে পারব না। কিছু ঘটে থাকলে তা নিন্দনীয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও ডিআই অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? কটা দিন আন্দোলন স্থগিত করা যেত না?” শিক্ষামন্ত্রী মনে করছেন, শিক্ষকদের ডিআই অফিস অভিযানের নেপথ্যে কারও উসকানি থাকতে পারে। সে উসকানি হতে পারে সংবাদমাধ্যমের, সে উসকানি হতে পারে রাজনৈতিক দলের। ব্রাত্য বলছেন, “এখনও পর্যন্ত কারও বেতন বন্ধ করা হয়নি। কোনও শিক্ষককে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জানিয়েছেন সর্বতভাবে চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, তখন ডিআই অফিসে যাওয়ার প্রয়োজনটা কী?”

দুদিনের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করে তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ব্রাত্য
বসুর সঙ্গে প্রস্তাবিত সাক্ষাতেরও আর কোনও অর্থ নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বদলে চাকরি বাতিল ইস্যুতে রণং দেহী মেজাজে বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসিকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি নিজের হাতে ছিঁড়ে ফেললেন তিনি।এদিন শেষ মুহূর্তে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ব্রাত্য বসুর সঙ্গে সাক্ষাৎ বাতিল করেন। তাঁর সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটা লোক কবিতার লাইন মনে পড়ছে। তুমি সর্প হয়ে দংশন করো, ওঝা হয়ে ঝাড়ো। এই যুক্তিটা কোনও যুক্তি হতে পারে না। শিক্ষা দফতর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নয়। উনি দলীয়ভাবে কোনও বিপদে পড়লেন কি না… দলীয় কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হল কি না। দল ওকে বারণ করল কি না। পরে এক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে কি না। উনি আমার অফিসে ফোন করে জানিয়েছেন যে উনি আজকে আসতে পারবেন না।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *