Breaking News

‘আন্দোলন করার একটা লক্ষ্মণরেখা আছে’,চাকরিহারা শিক্ষকদের কী বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর ?

প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- বিকাশ ভবনের সামনে এখনও বসে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এ বার তাঁদের এই পদক্ষেপ নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এদিন যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমার যথেষ্ট সিমপ্যাথি ছিল। থাকবে। আমি বলেছিলাম রিভিউ করব। কোর্টে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। আমরা রিভিউ পিটিশন করেছিলাম। আদালত কোনও সিদ্ধান্ত নিলে মানব না বলতে পারি না। এখনও কারও মাইনে বন্ধ হয়নি। গ্রুপ সি, ডি কর্মীদের স্কিম করে মাইনে দেওয়া হচ্ছে। এই আন্দোলনে যারা উসকানি দিচ্ছে তারাই মামলা করেছে। নাটের গুরুরা, স্বার্থরক্ষার গুরু হয়ে যায় তাহলে মুশকিল। রাজ্য সরকারের উপর ভরসা রাখা উচিত ছিল। শিক্ষকদের কাছ থেকে সৌজন্য, সম্মান আশা করি।”এদিন মমতা বলেন, ‘যারা উসকাচ্ছে তারাই কিন্তু মামলাটা করেছে ওদের বিরুদ্ধে। চাকরিগুলো কিন্তু আমাদের জন্য যায়নি। চাকরিগুলো যাদের যাবার পথে দাঁড়িয়েছে সেটার জন্য দায়ী যারা আমি তাদের বলব এটা না করলেই পারতেন। যারা চাকরি খেয়েছেন, সেই নাটের গুরুরা যদি তাদের স্বার্থরক্ষার গুরু হয়ে যায় সেখানে আমার আপত্তি আছে। তাদের রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করা উচিত ছিল।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও ওদের সাথে মিটিং করেছি। শিক্ষকদের কাছ থেকে আমরা মিনিমাম সম্মান প্রত্যাশা করি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে তারা সমাজকে সেবা করুক। বাচ্চাদের শিক্ষা দিক। আমার অভিযোগ একটাই, কাউকে জোর করে আটকে রাখা জোর করে যায় না। রাস্তা অবরোধ করে মানুষের ক্ষতি করা যায় না। এটা কারও কাজ নয়। এবং এতে বাইরের লোকেরা আছে। টিচারের সংখ্যা কম। বাইরের লোকের সংখ্যা বেশি। আমি আন্দোলনের বিপক্ষে নই। কিন্তু আন্দোলন করারও এতটা লক্ষ্মণ রেখা আছে।’এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘এখনও চাকরিহারাদের মাইনে বন্ধ হয়নি। গ্রুপ সি ও গ্রুপ-ডির চাকরিহারাদেরও টাকা দেওয়া হচ্ছে। চাকরি আমাদেক জন্য যায়নি। চাকরিগুলো যাদের জন্য গিয়েছে, তাদের বলব, এমনটা না করলেই পারতেন। চাকরিহারাদের উচিত ছিল, রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করা। অনেকে কাজ করছেন। ইস্কুলে যাচ্ছেন। অনেকে যাচ্ছেন না। তবে রাস্তা আটকে রেখে আন্দোলন করা যায় না। বাড়িতে লোকজন আছে। গর্ভবতী মহিলারা বলছেন, তাদের বাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অফিসে কাজ করছে তাকে ১৪, ১৮, ২০ ঘণ্টা আটকে দেওয়া হয়েছে। একটি মেয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। তাকে নামতে দেওয়া হয়নি। সে ভয়ে লাফ দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি।’ এরপরই মমতা চাকরিহারাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার যখন অধিকার নেই কাউকে বাধা দেওয়ার তখন আপনিও আমাকে বাধা দিতে পারেন না। আইনি লড়াই লড়়ুন। সরকার পাশে থাকবে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *