প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বিকাশ ভবনের সামনে প্রতিবাদ, বিক্ষোভে আপত্তি কেন, তা জানিয়ে রাজ্যকে আবেদন করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, নিজেদের বক্তব্য রাজ্যকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত। অন্য দিকে, মৌখিক ভাবে হাই কোর্ট জানায়, মামলাকারীর বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সে দিন চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হবে বলে বিচারপতি জানান।বিকাশভবনের সামনে আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের মধ্যে সুদীপ কোনার ও ইন্দ্রজিৎ মণ্ডলকে বিধাননগরে আপাতত ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক আদালত, কলকাতা হাইকোর্টে মৌখিক আবেদন রাজ্যের।এদিন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুদীপ কোনার একজন গ্রুপ-ডি স্টাফ। সে কি করছে এই আন্দোলনে? এটা তো শিক্ষকদের আন্দোলন! সে বিকাশভবন তছনছ করেছে | ১৯জন পুলিশ কর্মী খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে এই ঝামেলাবাজদের জন্য। বিধাননগরে থাকেন একাধিক আইনজীবী আমাকে জানিয়েছে, তাদের অসুবিধা হচ্ছে। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের ওখান থেকে সরিয়ে জায়গা ফাঁকা করা হোক।”
রাজ্য এই বিষয়ে একটা আবেদন করতে চেয়েছে এই মামলায়। রাজ্যকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সব পক্ষের আবেদন বিবেচনা করে নির্দেশ দেবেন। আপাতত আগামিকাল পর্যন্ত গতকালকের দেওয়া অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল থাকবে।বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ নিয়ে আপত্তি জানায় রাজ্য। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়াল, যোগ্য শিক্ষকেরা ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি করছিলেন। সেখানে মামলাকারী তো গ্রুপ ডি কর্মী। তিনি ওই কর্মসূচিতে কী করছিলেন? সে দিনের বিক্ষোভের ঘটনায় ২২ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ১৯ জন সাধারণ মানুষ। ওই এলাকায় তো শুধু বিকাশ ভবন নয়, অনেক সরকারি দফতর রয়েছে।রাজ্য সওয়াল করে আরও জানায়, বিকাশ ভবন ছাড়াও বিক্ষোভের ফলে কাজ করতে সমস্যায় পড়ছেন স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল, ভিজিল্যান্স কমিশন, এসবিআই ব্যাঙ্কের কর্মীরা। কয়েক জন ‘গুন্ডা’ মিলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। বিচারপতি ঘোষের মন্তব্য, ‘‘যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সত্যি প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিধাননগর এলাকায় কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না।’’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal