প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কলকাতায় জামতাড়া গ্যাংয়ের পর্দাফাঁস। আর্থিক প্রতারণা চক্রে বন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার ৪। ধৃতরা এন্টালি ও লেকটাউনের বাসিন্দা, খবর পুলিশ সূত্রে। জামতাড়ায় বসেই চলেছে আর্থিক প্রতারণার চক্র, খবর পুলিশ সূত্রে। তাদের বিরুদ্ধে বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরির অভিযোগ রয়েছে । কাস্টমার কেয়ারের নম্বর তৈরি করে চলত প্রতারণা, খবর পুলিশ সূত্রে। কাস্টমার কেয়ারের নম্বরে কেউ অভিযোগ জানালে তারপর পাঠানো হত লিঙ্ক, খবর সূত্রের। লিঙ্কে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হত টাকা, খবর পুলিশ সূত্রে। বন্দর এলাকায় ধৃত ২ জনকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম ও গার্ডেনরিচ থানা। অভিযুক্তদের যোগসূত্র রয়েছে প্রতারণার আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার সঙ্গেও। ৩২ বছর বয়সি সন্দীপকুমার আগরওয়াল নামে ওই যুবক ১৮ জুলাই গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, ১১ জুলাই একটি ভুয়ো অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক সাইটে গিয়ে প্রতারকদের ফাঁদে পড়েন। সেই সাইটে দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বলে পরিচয় দেয়। পরে সে হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিঙ্ক পাঠায় এবং অভিযোগ জানানোর জন্য তা ক্লিক করতে বলে। অভিযোগ, সন্দীপ লিঙ্কে ক্লিক করতেই তাঁর ফোন হ্যাক হয়ে যায় এবং একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১,১৮,৪১০ টাকা তুলে নেওয়া হয়।মামলার গুরুত্ব বুঝে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার মেহতাব আলম এবং গার্ডেনরিচ থানার অতিরিক্ত ওসি নাদিম আখতার। তদন্তে জানা যায়, প্রতারকরা হাতানো টাকা দিয়ে দামি বৈদ্যুতিন সামগ্রী কিনে সেগুলি কলকাতার বাজারে বিক্রি করত। অভিযুক্তদের একটি অংশ সক্রিয় ছিল জামতাড়াতেও |পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩৯টি মোবাইল ফোন, ৮টি পাওয়ার ব্যাঙ্ক, সিল করা ৩টি ঘড়ি, একটি ট্যাব, ২টি ব্লুটুথ স্পিকার, একটি হেডফোন, একটি স্কুটি এবং প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নগদ। বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর মূল্য আনুমানিক ১৫ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হয়। পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই প্রতারণা চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না এবং টাকা লেনদেনের সঠিক পদ্ধতি কী ছিল।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal