প্রসেনজিৎ ধর :- দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। আপসারিত গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পবিত্র চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এখনও এবিষয়ে উপাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।দুর্নীতি এবং কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তাঁকে সরানো হয়েছে। ২৫ অগস্ট কনভোকেশন অর্থাৎ সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে ব্যর্থ হন উপাচার্য। তার প্রেক্ষিতে সরানো হল বলে রাজভবন সূত্রের খবর। এর আগেও গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত, আর্থিক দুর্নীতি থেকে নথি, উত্তরপত্র চুরি-সহ এক গুচ্ছ অভিযোগ উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। সেই কারণে একাধিক আধিকারিককে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল।এই পরিস্থিতিতে এবার পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিল রাজভবন। এই প্রথম নয়, রাজ্যপালকেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি ইস্যুতে সরব হতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় বিজেপিও। দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের চার প্রতিনিধি দলকেও রাজ্যের তরফে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন খোদ উপাচার্যও। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে একাধিক।দেড় দশক আগে মালদহে গড়ে ওঠে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ ও দুই দিনাজপুরের ২৫টি কলেজ রয়েছে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর নিয়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন। ২০১৬ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। অভিযোগ ওঠে, অবৈধভাবে কোটি-কোটি টাকা খরচ করা হয় ওই অনুষ্ঠানে। হিসাব বহির্ভূত খরচের অভিযোগ ওঠে। তখন থেকে প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়, সেটারও খরচ নিয়ে অভিযোগ ওঠে। আদৌ সেই টাকা কোন খাতে খরচ করা হয়, তার হিসাব পাওয়া যায় না। গোটা বিষয়ের প্রেক্ষিতে এবার উপাচার্যকেই সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল।উল্লেখ্য, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। তারই মাঝে রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যকেই অপসারণ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal