দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- এসএসসি গ্রুপ সি দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় চার্জগঠন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছে। শুক্রবার আলিপুর আদালতে সেই শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়ে নিজেকে আরও একবার নির্দোষ বলে দাবি করেন তিনি। পার্থ জানান, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। তাঁকে রেহাই দেওয়া হোক |অসুস্থতার জন্য এখন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পার্থ। সেখান থেকেই এদিন আদালতের শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় তাঁকে। এদিন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, “আমি কাউকে সুপারিশ করে কোথাও বসাইনি। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হয়েছে।” বিচারক তখন বলেন, “রি-শাফেল করার অভিযোগ রয়েছে। সরানো হয়েছিল একজনকে। পরামর্শদাতার আগেই সরানোর অভিযোগ।” পার্থর আইনজীবী তখন বলেন, “যাঁকে আমার মক্কেল সরিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তিনি নিজেও এই মামলায় অভিযুক্ত।” সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “একজনের সঙ্গে অন্যজনের যোগসাজশের কথা আমরা তদন্তে তুলে ধরেছি।”
এদিন বিচারক জানতে চান, “কেন নিয়োগ হয়েছিল?”। যার জবাবে সিবিআই আইনজীবী বলেন, “এই নিয়োগগুলি হয়েছিল অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। এই অভিযোগের সপক্ষে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে।” এদিন শুনানিতে বিচারক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে বলেন, “আপনি দোষী না নির্দোষ বলুন।” যার জবাবে পার্থ বলেন, “আমি নির্দোষ। আমি শপথ নিয়ে মন্ত্রী হয়েছিলাম। আমার সংস্কৃতিগত সম্মান আছে। সামাজিক সম্মান আছে। আমাকে বাঁচানোর দায়িত্ব আদালতের। শুধু এই ভাবে দোষীসাব্যস্ত হব, তা হতে পারে না।” সেন্ট্রাল এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন তিনি।প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তখন বলেন, “আমাকে বলতে দিন। সাড়ে তিন বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে। আমি মন্ত্রী, তাঁরা কর্মী। বোর্ডের নির্দেশে পরিচালিত হয় এসএসসি। আর একজন লোকও পার্মানেন্ট কর্মী নন। ৫২টা বিশ্ববিদ্যালয়, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, কত তৈরি করেছি। আমি অসহায়। আমি ডক্টরেট। আমায় বিশ্বাস করুন। এভাবে চললে আগামিদিনে বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা থাকবে না। আমায় মুক্ত করুন। আমি অসুস্থ। আমার কোনও সামাজিক সম্মান নেই? আমার মামা শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। করজোড়ে বলছি, রেহাই দিন।” পার্থর মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন গ্রহণ করেনি আদালত।সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal