Breaking News

দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে সহপাঠীর হাতে খুন স্কুল পড়ুয়া!নাবালকের মৃত্যুর পিছনে প্রেমঘটিত কারণ, অনুমান পুলিশের

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- ভরদুপুরে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে রক্তারক্তি-কাণ্ড | সহপাঠীর হাতে খুন হতে হল আরেক সহপাঠীকে। অভিযোগ, ছুরি হাতে তার উপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় রক্তাক্ত হয় সে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া মনোজিৎ যাদবের।
ঘটনা ঘিরে শুক্রবার তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে মেট্রোর নিরাপত্তা এবং যাত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থা। কীভাবে মেট্রোর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ছুরি হাতে ঢুকল পড়ুয়া, তা নিয়েও যথারীতি উঠেছে প্রশ্ন! খুনের ঘটনাস্থল কর্ডন করে করেছে দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ। তবে, ঘটনার পর থেকে পলাতক মূল অভিযুক্ত ছাত্র।পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারী এবং নিহত— দু’জনই একই স্কুলের পড়ুয়া। নিহত ছাত্র কলা বিভাগের, আর অভিযুক্ত পড়ে বাণিজ্য বিভাগে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই নৃশংস ঘটনার পিছনে প্রেমঘটিত কারণ। পুলিশের ভাষায়, ‘প্রেমঘটিত বিবাদের জেরেই এই সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারন করে।’ ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
পুরো ঘটনার অংশ বিশেষ দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। স্টেশন চত্বরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ছাত্রকে সহপাঠীরা দোতলার পিছনের সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি।এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে কোনও ছাত্র মেট্রো স্টেশনের ভিতরে প্রবেশ করতে পারল? বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টেশনের মূল ফটক থেকে টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত কোনও নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকাটা একটি বড় ত্রুটি। ব্যাগ স্ক্যানিং শুরু হয় শুধুমাত্র টিকিট কাটার পর। ফলে বাইরে থেকে ছুরি নিয়ে প্রবেশ আটকানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার স্তম্ভিত। তাঁদের কথায়, ‘ও পড়াশোনাতেই মন দিত, কোনও ঝামেলার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল না। কোনওদিন ভাবিনি, এমনটা ঘটতে পারে।’
স্থানীয় কাউন্সিলর অঞ্জন পালও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, ‘মেট্রো স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই ফাঁকফোকরপূর্ণ যে আজকের মতো দুর্ঘটনা ঘটতে সময় লাগল না। এ ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *