Breaking News

দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার বিডিও প্রশান্ত বর্মনের গাড়িচালক-সহ ২!

নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- সল্টলেকের দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন রাজগঞ্জের বিডিও-র গাড়ি চালক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিধাননগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত দু’জনকে উত্তরবঙ্গের একটি জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন রাজু ঢালি ও তুফান থাপা নামের দু’জন ব্যক্তি। রাজগঞ্জের বিডিও-র গাড়িচালক রাজু ঢালি। বিডিও প্রশান্ত বর্মন যখন কলকাতায় আসতেন, তখন তাঁর গাড়ি চালাতেন রাজু। আর প্রশান্তর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হল তুফান থাপা, তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার। শনিবার তাঁদের বিধাননগর আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করছে, পরিকল্পনা করেই ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল। যদিও তাঁকে হত্যার বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল কি না, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, প্রথমে অত্যন্ত ভালোভাবে তদন্তে উঠে আসা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হয়। অভিযুক্তদের প্রথমে আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। স্বপন কামিলা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দিলামাটিয়ার বাসিন্দা। তাঁর সোনার দোকান রয়েছে দত্তাবাদে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গত ২৮ অক্টোবর নিজের দোকান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় তাঁর নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় নিউটাউনের যাত্রাগাছির বাগজোলা খালপাড় এলাকার ঝোপ থেকে।এই ঘটনায় নাম জড়ায় রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। অভিযোগ, অপহরণ এবং খুনে পুরোপুরি যুক্ত বিডিও। পরিবারের দাবি, গত প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে দত্তাবাদে দোকান ভাড়া করে ব্যবসা করেন স্বর্ণব্যবসায়ী। দিনকয়েক আগে নাকি ‘বিতর্কিত’ বিডিওর বাড়ি থেকে বেশ কিছু গয়নাগাটি চুরি যায়। ওই গয়নাগাটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করা হয় বলেই দাবি করেন বিডিও। সে সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতেই নাকি প্রথমবার আসেন বিডিও। তা নিয়ে সংঘাতের মাঝে গত ২৮ অক্টোবর, একটি নীলবাতি গাড়ি নিয়ে ফের দত্তাবাদের গয়নার দোকানের সামনে আসেন বিডিও। ওই গাড়ি থেকেই নাকি নামতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন বলেই দাবি স্বর্ণব্যবসায়ীর পরিবারের। ওই গাড়িতে করে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া পর। পরদিন উদ্ধার হয় দেহ। এই ঘটনার পর থেকে অন্তরালে চলে যান বিডিও। শুক্রবার অন্তরাল থেকে প্রকাশ্যে আসেন। অপহরণ ও খুনের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ নস্য়াৎ করেন। তার পরদিনই গ্রেফতার বিডিও ‘ঘনিষ্ঠ’ দু’জন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *