নিজস্ব সংবাদদাতা :-ফের এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার। এসআইআর আতঙ্কে এক মহিলা গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি। মৃতার নাম মস্তুরা খাতুন(৪০)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ওই পরিবারের বাড়িতে গিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বলে খবর। তাঁর নির্দেশে যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ ওই পরিবারের বাড়িতে এদিন সন্ধ্যায় যাবেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝবয়সী ওই মহিলা অবিবাহিত ছিলেন। বাপেরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে তিনি থাকতেন। গতকাল, শুক্রবার রাতে তিনি নিজের গায়ে আগুন দেন বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যরা রাতেই বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত ভাতার ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় ভাতার থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।পরিবারের অভিযোগ, SIR-এর ফর্ম ফিলআপ করা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন মাস্তুরা। তাঁর দিদি আস্তুরা খাতুন বলেন, ‘SIR ফর্ম নিয়ে কেমন একটা দ্বিধায় ছিল। আমরা সকলে ফর্ম জমা দিলেও, ও দিতে চায়নি। আমরা বোঝালাম, ওই ফর্ম জমা না দিলে তো ভোটার তালিকায় নামই উঠবে না। সব বন্ধ হয়ে যাবে। তার পরেও কিছুই শুনল না। গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে এই ঘটনা ঘটাল।’রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জেলায় এক কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে একটাই প্রশ্ন, আর কত প্রাণ যাবে? যে কাজ দু’বছরের, সেই কাজটা তড়িঘড়ি দু’মাসে শেষ করতে গিয়ে ৪৫ জনের কাছাকাছি মানুষের প্রাণ চলে গেল। জানি না আর কত প্রাণ গেলে নির্বাচন কমিশন আর বিজেপি থামবে।’ পাল্টা বিজেপি নেতা লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বক্তব্য, ‘তৃণমূল জানে, বাংলায় SIR হলে তাদের গদি টলমল হয়ে যাবে। তাই প্রথম থেকেই ওরা বিরোধিতা করছে।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal