প্রসেনজিৎ ধর :- ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল নন্দীগ্রামের বোয়ালের ৭ নম্বর বুথ এলাকা | দুপুরে নন্দীগ্রামের বয়ালের সেই বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেতেই রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি | বুথের বাইরে কার্যত সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হলেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা | তারই মধ্যে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা | ঘণ্টাদুয়েকের মতো সময় আটকে থাকার পর বয়ালের বুথ থেকে বের করা সম্ভব হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে | পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় কর্ডন করে বুথ থেকে বের করে আনা হল তৃণমূল সুপ্রিমোকে|
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটের সকাল থেকেই বয়ালে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পাভোটের অভিযোগ উঠছিল | তৃণমূলের দাবি, বুথে শাসক দলের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি| তারইমধ্যে দুপুর একটা নাগাদ রেয়াপাড়ার অস্থায়ী আস্তানা থেকে বয়ালের উদ্দেশে রওনা দেন মমতা | হুইলচেয়ারে বসেই বয়ালে সাত নম্বর বুথে আসেন | মমতাকে সামনে পেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলকর্মী এবং স্থানীয়দের একাংশ। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুথের ভিতরে যান মমতা | মমতা বুথের ভিতর থাকাকালীন বুথের বাইরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া হয় | তৃণমূলের অভিযোগ, বহিরাগতরা বিজেপির হয়ে ছাপ্পা ভোট তরছে | বিজেপির তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়, বহিরাগতদের নিয়ে এসেছে তৃণমূল |সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হন তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা| পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় র্যাফ নামানো হয় | ছিলেন রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। নিরাপত্তাজনিত কারণে মমতাকে বুথেই রাখা হয় | দু ঘণ্টারও বেশি বুথে ছিলেন তিনি | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে বহিরাগতদের নিয়ে এসে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে|আমরা আদালতে যাব |’এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা চলার মধ্যেই রাজ্যপালকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট হয়ে গিয়েছে | সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি’, মারাত্মক অভিযোগ করলেন মমতা |
ফোন পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, “কিছুক্ষণ আগেই ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্যার কথা তুলেছিলেন তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে | কর্তৃপক্ষের তরফেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে|”