সুবীর কর, বীরভূম :- অবশেষে খোঁজ মিলল বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের | শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা বীরভূমে | হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা | অবশেষে তাঁকে দেখা গেল তারাপীঠে | বুধবার সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ থেকে কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে যে লুকোচুরি ‘খেলা’ শুরু করেছিলেন কেষ্ট, তা দুপুর দুটো নাগাদ তারাপীঠ মন্দিরে শেষ হল | তারপর তাঁকে আবারও নজরবন্দি করল কমিশন | মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে আগামী শুক্রবার সকাল সাতটা পর্যন্ত ‘নজরবন্দি’ থাকার কথা ছিল অনুব্রতের | বুধবার সকাল ১১ টা ৪০ মিনিটে তিনি যখন বাড়ি থেকে বেরোন, তাঁর গাড়ির সঙ্গেই ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর আটজন জওয়ান | তাঁরা অবশ্য অন্য গাড়িতে ছিলেন | জেলার বিভিন্ন কার্যালয়ে যাওয়ার জন্যে বের হলেও রাস্তার কোনও এক জায়গায় কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে উধাও হয়ে যায় অনুব্রতের গাড়ি | আচমকাই কেষ্ট ‘পগাড়পার’ হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো স্থুলুস্থুলু পড়ে যায় | কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে | অনুব্রতের একজন নেতাকে কীভাবে ‘নজরবন্দি’ করা হল যে তিনি বাড়ি থেকে বেরনোর কয়েক মিনিটের মধ্যে চোখ এড়িয়ে গায়েব হয়ে গেলেন? সেই বিতর্কের মধ্যেই রীতিমতো হন্য হয়ে অনুব্রতের খোঁজ করতে থাকেন কমিশনের আধিকারিকরা | তা সত্ত্বেও খোঁজ মিলছিল না কেষ্টর | অবশেষে দুপুর দুটো নাগাদ তারাপীঠ মন্দিরে খোঁজ মেলে তাঁর |
তড়িঘড়ি তাঁকে আবারও নজরবন্দি করেন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা | সূত্রের খবর, নানুর এবং লাভপুর ঘুরে সাঁইথিয়া, মল্লারপুর, রামপুরহাটে যান অনুব্রত | তারপর তারাপীঠ মন্দিরে যান | সেখানেই লুকোচুরি খেলা শেষে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল|