প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও চাকরি মেলেনি | ফের আন্দোলনে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা | গত ৩০ জানুয়ারি থেকে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ধরনা ও অনশনে বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা | পুজো শেষের পর চাকরির দাবিতে জায়গা পরিবর্তন করে ফের অনশনে বসলেন তাঁরা| চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে প্রথম তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কেউ চাকরি পাননি | চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তাঁদের যে ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে | মেধাতালিকায় প্রথম দিকের নাম বাদ দিয়ে পিছন দিক থেকে নিয়োগ করা হয়েছে| এর ফলে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন| ১৮০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের এই অনশন চলে | পরে এই ধরনা তুলে দেওয়া হয়| ফের হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সিটি সেন্টারের সামনেই অনশন শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা | তবে এবার জায়গার পরিবর্তন করা হল |
আজ থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ফের শুরু হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের রিলে অনশন |আন্দোলনকারীদে দাবি, নিয়োগের দাবিতে এনিয়ে ৩ বার রাস্তায় নামলেন তাঁরা | প্রথমবার ২০১৯ সালে কলকাতা প্রেসক্লাবে ২৯ দিন অনশনে বসেন তাঁরা | দাবি, মেধা তালিকায় নীচের দিকে নাম থাকা সত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে | সমস্যা সমাধানে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল | তাতেও সমাধানসূত্র মেলেনি | মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা | বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে একজন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থও হয়ে পড়েন | কিন্তু তাতেও তাঁদের দাবি মেটেনি | শুধু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনেই নয়, রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা | গত ১০ অগাস্ট শিক্ষামন্ত্রী ও এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়| ওই বৈঠকের পর ৪০ দিনের মধ্যে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বলে দাবি আন্দোলনকারীদের,তাও করা হয়নি| এরপরই এবার মেয়ো রোডে তৃতীয় দফার অবস্থান বিক্ষোভে নামল তাঁরা |