প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে ব্যক্তির রহস্যমৃত্যু ঘিরে ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য | বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্ক এলাকার বাসিন্দা মুকেশ সাউ(৪৩)-কে এদিন সকালে তাঁর বাড়ির সামনেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় | তাঁর গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল | হাতে ছিল চপার | তা থেকে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল তিনি হয়তো আত্মহত্যা করেছেন | কিন্তু পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহ করছে তাঁকে খুন করা হয়েছে | ঘরের ভিতরে চপার দিয়েই তাঁর গলায় কোপ মারা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান | কিন্তু কেন বা কারা এই ঘটনা ঘটালো সেটাই এখন তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখছে পুলিশ | জানা গেছে, মুকেশের স্ত্রী এবং দুই ছেলে গত নভেম্বরে বিহারে গিয়েছেন | বাঁশদ্রোণীর বাড়িতে মুকেশ সাউয়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই সঞ্জয় | এদিন সবার আগে দেহটি দেখতে পান তাঁর ভাই সঞ্জয় সাউ | তিনিই খবর দেন পুলিশকে | খুন নাকি আত্মহত্যা, খতিয়ে দেখছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ | পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুকেশ | রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন | আজ, সকালে ভাই সঞ্জয় দেখেন, বাড়ির সামনে পড়ে রয়েছে দাদার দেহ | রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা করিডর | মৃতের ডান হাতে ধরা রয়েছে একটি ছুরি | গলা আর কাঁধে গভীর ক্ষতচিহ্ন | খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় | পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয় এটা খুন না আত্মহত্যা | তবে আঘাতের ধরন ও জায়গা দেখে মনে করা হচ্ছে পিছন থেকে চপারের কোপ দেওয়া হয়েছে | তাই ঘটনা খুন হওয়ার সম্ভবনাই বেশি | পুলিশ সঞ্জয়কে ঘটনার জেরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি খতিয়ে দেখছে মুকেশের সঙ্গে এলাকার কারোর কোনও বিবাদ ছিল কিনা |