দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-ভবানীপুরে দম্পতি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মৃতদের মোবাইলের খোঁজ করছিলেন তদন্তকারীরা | অবশেষে পুলিশের হাতে খোয়া যাওয়া দুটি মোবাইলের মধ্যে একটি| মঙ্গলবার রাতে ধর্মতলা এলাকার একটি ম্যানহোলের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে সেটি | ইতিমধ্যেই ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে পুলিশ | তল্লাশি চলছে অপর মোবাইলের | জানা গিয়েছে, উদ্ধার হয়া মোবাইলটি অশোক শাহ’র | তবে তাঁর স্ত্রী রশ্মিতা শাহের ফোনটির এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি | পুলিশের অনুমান, মৃত শাহ দ্মপতির পরিচিত কেউ এই ঘটনায় জড়িত | পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের কিনারা করতে গিয়ে পুলিশকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে | কারণ, ঘটনাস্থলের আশপাশে একাধিক সিসি ক্যামেরা থাকলেও বেশিরভাগই বিকল | কয়েকটি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ | কিন্তু তা আততায়ীদের ঢোকা-বেরনোর পথ ও তাদের চিহ্নিত করার জন্য যথেষ্ট নয়|তদন্তকারীদের অনুমান, আগে থেকে এলাকা রেইকি করে, খুঁটিনাটি খোঁজখবর নিয়েই দম্পতির উপর হামলা চালিয়েছে আততায়ীরা | তদন্তে উঠে আসছে, পরিচিত কেউ এসেছিলেন বলেই দরজা খুলে দিয়েছিলেন ওই দম্পতি | দরজার কাছে দাঁড়িয়ে হাতে সেভেন এমএম পিস্তল নিয়ে খুনি টার্গেট করে রশ্মিতা শাহকে | আততায়ীর গুলি মাথার পিছন দিক দিয়ে ঢুকে কান দিয়ে বেরোয় | যদিও তার আগেই নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে রশ্মিতার স্বামী অশোক শাহকে| কারা সেদিন এসেছিল? ঘনাচ্ছে রহস্য |কী কী তথ্য হাতে এসেছে? পুলিশ তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি তথ্য পেয়েছে | তার মধ্যে অশোক শাহের নিজের অফিস ছিল না | বড়বাজারের মেহতা বিল্ডিংয়ে মেজ জামাইয়ের অফিসে তিনি বসতেন | তাঁর ফোনের শেষ লোকেশনও মিলেছে মেহেতা বিল্ডিং | তাই এই ঘটনার নেপথ্যে ব্যবসায়ীক যোগ থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে | আবার ঘটনাস্থল থেকে বড় রাস্তায় বেরনোর তিনটি গলি রয়েছে | প্রথম গলি দিয়ে বেরনো যায় হরিশ মুখার্জি রোডে | আততায়ী সেই রাস্তা দিয়েই বেরিয়েছিল | পুলিশ কুকুর তেমনই দিকনির্দেশ করেছে | তবে পালানোর জন্য অনেক বেশি নিরাপদ অন্য দু’টি গলি | দ্বিতীয় গলিটি দিয়ে বলরাম বোস ঘাট রোডে বেরনো যায় | তৃতীয় গলিটি দিয়ে বেরোলে কালীঘাট রোড | এই তিনটি রাস্তার মধ্যে প্রথম দু’টিতে সিসি ক্যামেরা থাকলেও তৃতীয়টিতে নেই | তাই মনে করা হচ্ছে, ঘটনাস্থলের রুট ম্যাপ আততায়ীরা সম্পূর্ণভাবে ছকে নিয়েছিল|