প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- পার্কসার্কাসে পুলিশকর্মীর এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল হাওড়ার দাসনগরের বাসিন্দা রিমা সিংহের | তার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |একইসঙ্গে রিমার ভাইকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী | শনিবার দুপুরে সিংহ পরিবারে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী | কথা বলেন নিহত তরুণীর মা মীরা সিংয়ের সঙ্গে | এদিন তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে রিমার বাড়িতে গিয়েছিলেন হাওড়ার তৃণমূল নেতা অরূপ রায় | তাঁর সামনেই মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন মীরাদেবীর সঙ্গে | তাঁর ছেলেকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী | এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে রিমার পরিবারকে সমবেদনা জানান | সেই সঙ্গে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন | এছাড়াও রিমার বাবা বেশ অসুস্থ রয়েছেন | আগে তিনি একটি কারখানায় চাকরি করতেন | সেই কথা জানার পর তাকে বাড়ির কাছাকাছি দোকান ঘর করে দেওয়া হতে পারে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী | এদিন রিমার মা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যাতে এরকম কোনও মানুষকে পুলিশের চাকরি দেওয়া না হয় | মুখ্যমন্ত্রী রিমার মায়ের কথা শুনেছেন বলেই জানা গিয়েছে | রিমার মা বলেন, ‘দিদি ফোন করেছিলেন | তিনি জানিয়েছেন মেয়েকে তো আর ফেরাতে পারব না, তবে পাশে দাঁড়াব |’ পুলিশ কনস্টেবলকে দায়ী করে রিমার মা বলেন, ‘আজকে এরকম লোকের জন্য আমার সংসারটা ধ্বংস হয়ে গেল|’এদিনই রিমা সিংয়ের বাড়িতে যান হাওড়ার তৃণমূল নেতা অরূপ রায়| সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই আধিকারিক | তিনি বলেন, “রিমার পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি | কোনও প্রয়োজন হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা সবসময়ে পরিবারের পাশে থাকবো |”
আত্মঘাতী পুলিশ কর্মীর মস্তিষ্ক বিকৃতির জন্যই এমন কাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি অরূপ রায়ের |প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে পার্কসার্কাস এলাকায় গুলি চলে | অ্যাপ বাইকে যাওয়া এক তরুণীর দিকে গুলি ছুঁড়ে আত্মঘাতী হন কলকাতা পুলিশের কর্মী চুডুপ লেপচা| গুলিতে নিহত হন বছর পঁচিশের তরুণী রিমা সিং | তিনি হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা | পার্কসার্কাসে কাজে যাচ্ছিলেন | সেখানেই ঘটে গেল প্রাণঘাতী ঘটনা | এই খবর বাড়িতে পৌঁছলে কেউই প্রথম বিশ্বাস করতে পারেননি | কলকাতা পুলিশের ওই কর্মীর এহেন উশৃঙ্খল কাজ নিয়েও বহু প্রশ্ন উঠে যায়|