প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ভয়াবহ ঘটনা গল্ফগ্রিনে | পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ | অভিযোগ গল্ফগ্রিন থানার বিরুদ্ধে| ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ওই থানার ৩ পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে | যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক, এক পুলিশ কনস্টেবল এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার | অভিযোগ, গত ৩১ জুলাই আজাদগড়ের বাসিন্দা দীপঙ্কর সাহাকে কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে থানায় ডেকে নিয়ে যায় | পরিবারের দাবি, যারা থানায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা বলেছিলেন ‘বড়বাবু থানায় ডাকছেন |’ এরপর ওই রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় বাড়ি ফেরেন দীপঙ্কর | পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ তাকে বাড়ির কিছুটা আগেই ছেড়ে দিয়েছিল | দীপঙ্কর তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, পুলিশ কর্মীরা তাকে মারধর করেছেন | তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে দাবি পরিবারের | এরপর ওই দিন রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় দীপঙ্করের | পরে ২ আগস্ট তাকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় | সেখানে চিকিৎসকরা জানান, তার কব্জির হাড়ে চির ধরেছে | এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়| তখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে, সেখানেই তার মৃত্যু হয় | পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে দীপঙ্করের |এ নিয়ে তারা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন | ইতিমধ্যে ডিসির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে | সেখানে এলাকার ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মেডিক্যাল রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে | ওই যুবকের দিদি জানিয়েছেন ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের | তিনি আরও জানিয়েছেন পুলিশের মারে ওই যুবকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয় | শরীরের বিভিন্ন জায়গা চামরা উঠে যায় এবং রক্ত জমে যায় বলেও দাবি করেছেন তিনি | তিনি আরও জানিয়েছেন ওই যুবককে মারার পরে পুলিশ জানায় যে তাঁকে ভুল করে মারা হয়েছে | ওই যুবককে হুমকিও দেওয়া হয় যাতে সে এই বিষয়ে মুখ না খোলে | বাইরে এই বিষয় কথা বললে আরও মারার এবং বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন ওই যুবকের দিদি |
যদিও কোন অভিযোগ সত্যি এবং কোনটা নয় তা এখনও জানা যায়নি| অন্যদিকে পুলিসের তরফে জয়েন্ট সিপি ক্রাইম জানিয়েছেন ওই যুবকের বাড়ি থেকে বেরন এবং ফিরে আসার যে সময় পরিবার জানিয়েছে সেই সময় সঠিক নয় | ওই যুবককে থানায় কিছুক্ষণের জন্য ডাকা হয় এবং এরপরে সুস্থ অবস্থায় তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি | দুই অভিযোগের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা কোনটা তা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয় |