দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ফের আরও একটা খুনের ঘটনা ঘটল খাস কলকাতায়। ট্যাংরা এলাকায় এক মহিলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁরা। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার।স্থানীয় সূত্রে খবর, একটা জমি ছিল গীতা মণ্ডলের। আর সেটা নিয়েই গীতা মণ্ডলের পরিবারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা পারিবারিক অশান্তি থেকে বিষয়টা জানতে পেরেছিলেন। ওই বাড়িতে অশান্তি হতো জমি নিয়েই। প্রতিবেশীরা মাঝেমধ্যে তাদের মধ্যস্থতা করতে যেতেন। কিন্তু পারিবারিক বিবাদ বলে বেশি জড়াতেন না। সেই অশান্তিই চরমে ওঠে এবং জমি হস্তগত করতে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ।জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় অশান্তি শুরু হয়। লক্ষ্মী মণ্ডল, দিলীপ মণ্ডল এবং কমলা মণ্ডলদের সঙ্গে গীতার বচসা বাধে। সেটাই বাড়তে থাকে এবং চিৎকার –চেঁচামিচির পর্যায়ে পৌঁছয়। অভিযোগ, এই বচসা চলাকালীন আচমকা লাঠি নিয়ে বৃদ্ধাকে মারে অভিযুক্তরা। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই মারধরের জেরে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। মৃতার মেয়ে অভিযোগ করেন, ওরা মাকে পিটিয়ে খুন করেছে।তার আরও অভিযোগ,জমি নিয়ে নিতে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু এমন পরিণতি ঘটবে সেটা ভাবা যায়নি। এই ঘটনাটি নিয়ে ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।বুধবার রাতে মহিলার ছেলে রবীন্দ্র মণ্ডল ট্যাংরা থানার পুলিশের কাছে তিনজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ জানান। অভিযুক্তরা হল সম্পর্কে মহিলার ননদ, ননদের ছেলে ও ননদের পুত্রবধূ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে ট্যাংরা থানার পুলিশ। কী নিয়ে বচসার সূত্রপাত হয়, এবং কেন তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হল তা জানতে তৎপরতা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।