প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- দশমীর রাতে শিয়ালদহ ফ্লাইওভারে হাড়হিম করা দুর্ঘটনা। শিয়ালদহ ফ্লাইওভারে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মৃত্যু ৩ যুবক-যুবতীর। দশমীর রাতে বিদ্যাপতি সেতুর উপর ৬ পথচারীকে ধাক্কা মারে বেপরোয়া বেসরকারি বাস। তার মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ঘাতক বাসের চালক ও কন্ডাকটরকে গ্রেফতার করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ ।অন্যদিকে ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। বাসের চালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘাতক বাসের চালক ছাড়াও এই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দশমীর রাতে শিয়ালদহে ৪৬ নম্বর রুটের একটি বাস অন্য একটি বাসের সঙ্গে রেষারেষি করছিল। সেই সময় বেপরোয়াভাবে পরপর ৬ জনকে ধাক্কা মারে একটি বাস। সেই ধাক্কার অভিঘাতে মৃত্যু হয় এক তরুণীর। জখম হন আরও ৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে মৃত্যু হয় আরও দুজনের। অন্যদিকে ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। বাসের চালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘাতক বাসের চালক ছাড়াও এই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যাপতি সেতু ধরে এনআরএস থেকে রাজাবাজারের দিকে যাচ্ছিল যুবক-যুবতীদের ৬ জনের দলটি। সেইসময় এনআরএস-এর দিক থেকে আসা ৪৬ নম্বর রুটের বাসটি প্রথম সিগন্যালে একজন যাত্রীকে তোলে। তারপরই নিয়ন্ত্রণ হারায় সেটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যাপতির সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মেরে রেলিংয়ে ঘষা খেতে খেতে এগোতে থাকে। সেইসময় রেলিং পাশ দিয়ে হাঁটছিল ওই ৬ জন যুবক-যুবতী। তাদেরও ধাক্কা মারে বাস। বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৮ বছরের অদিতি গুপ্তার। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় রাহুল কুমার প্রসাদ (৩০) ও নন্দিনী কুমারীর (১৮)। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, মাত্র ১০ মাস আগে বিয়ে হয়েছে বছর তিরিশের রাহুলের। ঘরে এক মাসের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। একটি মোবাইলের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন রাহুল।শ্যালিকা, তিন শ্যালক ও মামাকে দশমীর রাতে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন রাহুল। অভিশপ্ত রাত পথেই ডেকে আনে মর্মান্তিক পরিণতি।