দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ফের রাতের কলকাতায় প্রকাশ্যে চলল গুলি। অভিযোগ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে ট্যাংরার পটারি রোডে গুলি চলে। গুলিতে আহত হয়েছেন এক মূক ও বধির ব্যক্তি। তাঁকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ পটারি রোডে ভাইয়ের বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে দাদার দোকানে ঘুমাতে যাচ্ছিলেন মূক ও বধির রতন কুমার সাঁধুখা। বয়স ৬৩ বছর। তখনই বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গলির মধ্যে হঠাৎই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ওই বৃদ্ধের পেটে গুলি লাগে। গুলি লাগার পর ওই বৃদ্ধ দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। আত্মীয়রা এন্টালি থানার পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে আসে এন্টালি থানার পুলিশ। তারপরই পুলিশ,আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা মিলে তাঁকে এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আত্মীয়দের অভিযোগ, টার্গেট ছিল অন্য একজন। তাঁকে গুলি করতে গিয়েই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বৃদ্ধ রতন কুমার সাঁধুখাকে গুলি করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। ইমারতি ব্যবসায় সিন্ডিকেট নিয়েই এই গোষ্ঠীকোন্দল। স্থানীয়রা জানান, টার্গেট ছিলেন দীপক দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী। তিনি যখন বাইকে করে যাচ্ছিলেন, তখনই স্থানীয় বাসিন্দা তপন হালদার তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। সেই গুলি-ই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ওই বৃদ্ধের পেটে গিয়ে লাগে। দীপক দাস এবং তপন হালদার দুজনেই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে পরিচিত। আবার দুজনেই ইমারতি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ওদিকে, এই ঘটনার পরে এলাকায় আসে এন্টালি থানার বিরাট পুলিস বাহিনী। আসেন ডিসি ( ESD) প্রিয়ব্রত রায়। তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কী কারণে গুলি চলে? সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছে তারা। কে বা কারা গুলি চালাল তা খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছে এন্টালি থানার পুলিশ। কে বা কারা গুলি চালাল তা খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal