প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি :- আলমারির ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার দেহ | শনিবার সকালে হুগলির চুঁচুড়ার এক বাড়িতে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। দেহ উদ্ধারের আগে থেকেই বেপাত্তা ওই মহিলার স্বামী।স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, মৃতার নাম ভারতী ধাড়া (৬২)। পেশায় গৃহ পরিচারিকা। চুঁচুড়ার শ্যামবাবু ঘাটের কাছে একটি টিনের চালায় স্বামী কাশীনাথ ধাড়ার সঙ্গে থাকতেন তিনি। ভারতীয় স্বামী কর্মহীন। মদের নেশায় চুর থাকতেন দিনভর বলে অভিযোগ | নেশার জন্য বারবার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা চাইতেন তিনি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে চরম অশান্তি হত। স্থানীয়দের দাবি, বৃহস্পতিবারের পর আর দেখা মেলেনি ভারতীর।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান চালানোর পাশাপাশি আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে মায়ের খোঁজ নিচ্ছিলেন মহিলার ছেলে। কিন্তু কোনওভাবে মহিলার হদিশ মিলছিল না। অবশেষে শনিবার সকালে বাড়ির আলমারি খুলতেই ঘরের মেঝেতে গড়িয়ে পড়ে মহিলার লাশ। এই দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে যান মহিলার ছেলে। ঘটনার কথা জানিয়ে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় আলমারির ভিতরে দেহ ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। খুনের পিছনে মহিলার স্বামীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। শুধু তাই নয় খুনের পর দেহ আলমারির ভিতরে রেখে মহিলার স্বামী চম্পট দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নেশার টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে খুন করেছে কাশীনাথ। তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ধাড়া দম্পতির এক ছেলে বিশ্বনাথ ধাড়া ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা করেন। তিনি বাড়িতে থাকতেন না। তবে তাঁর ব্যবসার জিনিসপত্র থাকত শ্যামবাবুর বাড়ির একটা আলমারিতে থাকত। এদিন সকালে বিশ্বনাথ বাড়ি যান ব্যবসার জিনিসপত্র নিতে। আলমারি পাল্লা খুলতেই ভারতীর দেহ পড়ে তাঁর উপর। সঙ্গে সঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।