প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- অব্যাহত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন। জারি আছে অনশন। সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে গিয়েই তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তিনি এসেছেন।রবিবার স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল। এরইমধ্যে আজ এক অনশনরত পড়ুয়া হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি ছাত্র সংসদের ভোট করানোর আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি পড়ুয়াদের অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রীকেও খালি হাতেই ফিরতে হল।আজ সোমবার দুপুরে অনশনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি পড়ুয়াদের অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। মন্ত্রীর অনুরোধ, তাঁরা যেন অনশন তুলে নিয়ে শুধুমাত্র বিক্ষোভ দেখান। তবে পড়ুয়ারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁদের দাবি পূরণ না হলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ছাত্রদের দাবি হল, ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে হবে। যদিও ২২ তারিখে নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে জানতে পারেননি চন্দ্রিমা। তিনি বলেন, ‘ছাত্র সংসদের নির্বাচন তো নিশ্চয়ই হবে। তবে ২২ তারিখেই হবে কিনা তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ করোনা অতিমারী কেটে গেছে ঠিকই, কিন্তু তার রেশ এখনও পুরোপুরি যায়নি। যে কারণে নির্বাচন করা গত দু’বছর ধরে সম্ভব হয়নি। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় এই মুহূর্তে পরীক্ষা চলছে সেই কারণে এই মুহূর্তে নির্বাচনের সঠিক তারিখ বলা সম্ভব নয়।টানা চারদিন একটানা অনশন করায় আন্দোলনকারী ঋতম মুখোপাধ্যায়ের রক্তে একধাক্কায় শর্করার পরিমাণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। তিনি মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি |
স্যালাইন চলছে। এদিকে অসুস্থ হলেও খাবার খেতে নারাজ ঋতম। তাঁর দাবি, “আমার বন্ধু, দাদা-ভাইরা এখনও আন্দোলন করছে তাই আমিও খাবার দাঁতে কাটব না।”সেই খবর পেয়ে এদিন মেডিক্যাল কলেজে ছুটে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আপাতত স্বাস্থ্য ভবনে আগামীকালের বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছেন পড়ুয়ারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে প্রয়োজনে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন।