দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না লুট করল দুষ্কৃতীরা।এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে ভুয়ো সিবিআই অফিসারের দাপট দেখা গেল। ভবানীপুরে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট করার অভিযোগ উঠল। ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে থেকে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা এবং বেশ কয়েক লক্ষ টাকার গয়না লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভবানীপুর থানার সঙ্গে তদন্তে নেমেছে লালবাজার। দিনেদুপুরে বিনা বাধায় লুঠপাট করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। সিবিআই অফিসার সেজে বাড়িতে হানা দিচ্ছে প্রতারকরা।স্থানীয় সূত্রে খবর, সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে ১/৬ রূপচাঁদ মুর্খাজি লেনের আবাসনে আসে ওই প্রতারকরা। ভবানীপুর থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ওই বাড়িতে থাকেন এই সিন্ধি পরিবার। গৃহকর্তা সুরেশ ওয়াধা পেশায় ব্যবসায়ী। খাবার এবং কেমিক্যালের ব্যবসা আছে তাঁর। পাড়ায় সেভাবে মেলামেশা করেন না। এমনকী, বাড়ির দরজাও সর্বক্ষণ বন্ধ থাকে। বাড়ির নিচে থাকেন একজন বয়ষ্ক কেয়ারটেকার। এই ঘটনার পর যখন ব্যবসায়ী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন তখন ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, রূপচাঁদ মুখার্জি লেনের বাসিন্দা সুরেশ ওয়াধার বাড়িতে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আসে ওই প্রতারকের দল। প্রায় ৮–৯ জন লোক আসে। তারা তিনটি গাড়ি নিয়ে এসেছিল। গাড়িতে পুলিশের স্টিকার সাঁটানো ছিল। বাড়ির দরজা খুলতে তারা বলে, ‘সিবিআই অফিস থেকে আসছি’। তারা নিজেদের সিবিআই–এর লোক বলে পরিচয় দেয়। বাড়ির ভিতরে ঢুকে ৩০ লাখ টাকা বেশ কিছু মূল্যবান গয়না তারা নিয়ে চম্পট দেয়। কিন্তু কোনও ‘সিজার লিস্ট’ না দিয়েই সবকিছু নিয়ে চলে যায় তারা। এদিকে সিজার লিস্ট না দেওয়ায় সন্দেহ হওয়ায় ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।এই ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন গৃহকর্তা সুরেশ ওয়াধা এবং ৫–৬ জন মহিলা। দুষ্কৃতীরা হানা দেওয়ার ৩ ঘণ্টা পর গোটা বিষয়টি বুঝতে পারেন ব্যবসায়ী। তখন তিনি ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন হাজরা মোড়ে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলে সকাল থেকে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা ছিল। তারপরও এই ঘটনা ঘটায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ভুগছেন।