প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- হরিদেবপুরে নাবালিকার যৌন হেনস্থার অভিযোগ। ১৭ বছরের কিশোরীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল মা ও ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক ও তার মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ । পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের মা ওই নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে এনেছিলেন। তারপর খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন মাদক। তার প্রভাবে অচৈতন্য হয়ে পড়তেই দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা মহিলার ছেলে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠানে বিউটিশিয়ান কোর্স করতেন অভিযুক্তের মা। হরিদেবপুরের বাড়িতে তাঁর একটি পার্লারও রয়েছে। গত অক্টোবরে কালীপুজো উপলক্ষে ওই নাবালিকাকে নিমন্ত্রণ করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত মহিলা। এরপরেই খাবারে মাদক মিশিয়ে দেন বলে অভিযোগ। খাবার খেয়ে কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ওই যুবক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে চলে নির্যাতন। তিন দিন পর কোনও মতে পালিয়ে যায় সে। বাড়ি ফিরে এক আত্মীয়কে সব কথা জানায়। এর পর এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যায় সে। প্রথমে সামাজিক লজ্জার কারণে ধর্ষণের অভিযোগ করতে চায়নি পরিবার। শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁর মাকেও গ্রেফতার করা হয়।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃতরা।পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদেবপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মা ও ছেলেকে। এই মহিলার সঙ্গে বিউটিশিয়ান কোর্স করত ওই কিশোরী। আর মহিলার ছেলে এমবিএ’র ছাত্র। বাড়িতে ডেকে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে আচ্ছন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর লাগাতার ধর্ষণ করে ওই মহিলার ছেলে। এই ঘটনায় সরাসরি মহিলার মদত ছিল। তিনি এইসব দেখেও কোনও প্রতিবাদ করেননি। বরং ছেলেকে সহযোগিতা করেছিলেন।পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, এই ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠতে অনেকটা সময় লাগে। তাই অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়। ওই মহিলা বাড়িতে খাওয়াবে বলে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর খাবার দিলে তা খেয়ে কেমন শরীর খারাপ লাগে। আর একটা আচ্ছন্ন ভাব আসে। তখন ওই মহিলার ছেলে সুযোগ নিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে। বাধা দেওয়ার শক্তি না থাকায় অত্যাচার সহ্য করতে হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে হরিদেবপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।