দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ধমকের পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সিবিআই হেফাজতে গেলেন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্য। শনিবার আলিপুর আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালত তাকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার সুবীরেশকে হেফাজতে চেয়ে নতুন করে আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। সুবীরেশ ভট্টাচার্যের হয়ে আইনজীবী জানান, ৮৮ দিন জেলে রয়েছেন, ৫ বার সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিয়েছেন, এফআইআর এ তাঁর নাম ছিল না। সবরকম সহযোগিতা করেছেন তিনি। চার্জশিটও দাখিল হয়ে গেছে। এরপর সুবীরেশের সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ ৭ বছর, তদন্তে দেরি হচ্ছে এই অভিযোগ থাকলে সাড়ে তিন বছর পরে আসুন। সুবীরেশ ভট্টাচার্যর আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর। সুবীরেশ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছেন? তা জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। নবম-দশম দুর্নীতি মামলায় হেফাজতে রয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, কেন সুবীরেশকে হেফাজতে নিচ্ছে না তারা। জবাবে সিবিআই জানায়, আবেদন করা হয়েছিল। নিম্ন আদালত জানিয়েছে ১০ দিন পর শুনানি হবে। এতেই ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তিনি বলেন, একজন জেলবন্দি অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে ১০ দিন লাগবে কেন? তিনি দিল্লিতে আছেন না কি? আদালত থেকে জেলের দূরত্ব কত? এমনকী কেন সুবীরেশের হেফাজতের চেয়ে সিবিআইয়ের আবেদনের শুনানি ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হল তা জানতে চেয়ে আলিপুর আদালতের বিচারকের কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।এরপরই শুক্রবার ফের সুবীরেশকে হেফাজতে চেয়ে আলিপুর আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই। আদালতে তারা জানায়, সুবীরেশকে বেশ কয়েকজনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা দরকার। যা জেলে গিয়ে করা সম্ভব নয়। এর পরই বিষয়টি শনিবার বিবেচনা করা হবে বলে জানায় আদালত। শনিবার অবশেষে সুবীরেশকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠালেন বিচারক।