প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা ছাড়ার পরই আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ–সহ গ্রেফতার হল এক বিজেপি কর্মী। রাজারহাট থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এই রাজারহাটের একটি অতিথিশালায় ছিলেন খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে বিজেপি কর্মীর কাছে কেন আগ্নেয়াস্ত্র ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরই এখন খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। আজ, রবিবারই তাকে আদালতে পেশ।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত শাহাবুদ্দিন লাউহাটি মোবারকপুর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা। শনিবার রাত্রিবেলা বাড়ি থেকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সহ তাকে গ্রেফতার করে রাজারহাট থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সদস্য মধু মোল্লাকে মারধর, তৃণমূল কর্মী জয়নাল আবেদিনকে মারধর ও আলমগীর মোল্লার ভেরিতে আগুন লাগানো-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ কর্মের অভিযোগ রয়েছে।২০২১ বিধানসভা ভোটে রাজারহাট-নিউটাউন কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ভাস্কর রায়। সেই সময় তাঁর হয়ে সক্রিয় ভাবে প্রচার করতে দেখা যায় শাহাবুদ্দিনকে। এমনটাই দাবি তৃণমূলের। সূত্রের খবর, এরপরই বেশ কিছু দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহবুদ্দিন। পরবর্তী সময় পুনরায় অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এদিনের গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ|উল্লেখ্য, শাহাবুদ্দিনকে চিনতে অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা ভাস্কর রায়। তিনি বলেন, “উনি একসময় আইএসএফ করতেন। ভোটের সময় আমার কাছে এসেছিল। তবে আমি ওনাকে নিইনি।” বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমার বিষয়টি পুরো জানা নেই। তবে যদি ধরে নেওয়া যায় যে ওই ব্যক্তি বিধানসভায় বিজেপির হয়ে কারোর সঙ্গে কাজ করেছিল তাহলে এটা থেকে কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায় না।” পঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা মধুমোল্লা বলেন, “ওকে বারবার ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর বেরিয়ে এসে অশান্তি করছে। একসময় আমায় মেরেছিল চপার দিয়ে। আমার তিনখানা গাড়ি ভেঙে দিয়েছিল। শুধু আমায় না আমার দলের অন্য সদস্যদেরও মেরেছিল। ভেড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল।”