দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সেক্টর ৫-এর বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক তরুণী। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল অফিস পাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে মৃত্য়ুর কারণ নিয়ে ক্রমশ রহস্য দানা বাঁধছে। নিহত বছর পঁচিশের ওই তরুণীর নাম ঐশ্বর্য শর্মা। সল্টলেকের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। আদতে অসমের শিলচরের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে রাজারহাটে থাকতেন তিনি।
সঙ্গে থাকতেন তাঁর পরিবারের লোকজনও। ঐশ্বর্যর সহকর্মীদের দাবি, আচমকা কিছু খুব উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার শব্দ পান তাঁরা। ততক্ষণে অফিসজুড়ে রটে যায় কেউ ঝাঁপ দিয়েছেন। দৌড়ে নিচে নামেন ওই সংস্থার প্রায় সকলেই। দেখেন নিচে পড়ে রয়েছেন ঐশ্বর্য। চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্ত। তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয় ঐশ্বর্যকে। নিয়ে যাওয়া স্থানীয় হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।ঐশ্বর্যর সহকর্মীদের একাংশের দাবি, শুক্রবার বিকেলে সিনেমাও দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে আচরণে সন্দেহজনক কিছুই ধরা পড়েনি। তা সত্ত্বেও আচমকা কেন অফিসের ১২ তলা থেকে ঝাঁপ দিলেন ঐশ্বর্য, তার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিকভাবে মোটেও সুস্থ ছিলেন না তরুণী। সে কারণে আচমকা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। অফিসে অশান্তির জেরে ১২ তলা থেকে ঐশ্বর্য ঝাঁপ দিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তরুণীর ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা ছিল না, সে সম্পর্কে তথ্যের খোঁজে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।