দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- শুনানি চলাকালীন এজলাসে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাকে ডেকে নিয়ে সুবিচারের আশ্বাস দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মহিলা আগেও বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন জেলার মুখ্য বিচারকের কাছে যেতে। সেই মতো গিয়ে ওই মহিলা উপকৃতও হয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে। সন্তানের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত টাকা মিলছে না। সেই সমস্যা যাতে মেটে তাঁর জন্য সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।বীরভূমের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম মিতালি দাস। তাঁর স্বামী মহিলার বিরুদ্ধে ১৮ টি মামলা দায়ের করেছেন। মিতালির অভিযোগ, তিনি মাসে সন্তানের চিকিৎসা ও খরচ বাবদ দশ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। তার জায়গায় তিনি আট হাজার টাকা পাচ্ছেন। নিম্ন আদালত দুই হাজার টাকা খরচ কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে মহিলার প্রতিবন্ধীর শিশুর চিকিৎসা করাতে অসুবিধা হচ্ছে। মহিলার কথায়,’২০১০ সালে হাইকোর্ট আমার স্বামীকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নিম্ন আদালতের বিচারক সুজয় সেনগুপ্ত তা কমিয়ে আট হাজার টাকা করে দিয়েছেন।
আমার স্বামী বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছে। প্রতিবন্ধী বাচ্চা নিয়ে কোথায় যাব? কিছু বঝতে পারছি না।’বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আপনি কি খুব ঝগড়া করছেন? ঠিক আছে। এখন আপনি চলে যান। আমি আপনার কাগজ খতিয়ে দেখব। আইনি সাহায্য পাচ্ছেন?” মিতালি উত্তরে বলেন, “আপনার কথামতো লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির কাছ থেকে সাহায্য পাচ্ছি। আজ আবার সেখানে যাব।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মা ও মেয়ের উদ্দেশে বলেন, “ঠিক আছে, সাবধানে যান।” এরপরই মিতালি এবং তাঁর মা কেঁদে ফেলেন। হাতজোড় করে তাঁরা বলেন, “আপনার মতো ভগবান পাশে ছিল বলে আমি রেহাই পেলাম। আপনার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে পারলে ধন্য মনে করতাম।” তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের থামিয়ে দেন।বলেন, “এসব কিছু না। ওভাবে বলবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে।”