দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-ডিএ আন্দোলনে সুর আরও চড়াল সরকারি কর্মচারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় ডিএর দাবিতে স্লোগান দিলেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে এলেন শুভেন্দু অধিকারী-সোনালী গুহরা| হাজরায় ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে এদিন এসেছিলেন বাম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান, কৌস্তভ বাগচির মতো নেতারা। খানিক পরেই সেখানেই এলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী| এসেই তীব্র আক্রমণ শানালেন মমতা-অভিষেককে। সঙ্গে পাশে থাকার বার্তা দিলেন ডিএ আন্দোলনকারীদের।
শুভেন্দু বললেন, “আপনারা শহিদ মিনারে আজকে ধরনার একশো দিন পূরণ করেছেন। যে চারটি দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছে তার জন্য যৌথ মঞ্চকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা ইতিমধ্যেই দিল্লিতে দু’দিন ধরে এই রাজ্যের এই সরকারের কঙ্কালসার অবস্থা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। আজ চার দফা দাবিকে সামনে রেখে আপনাদের মহামিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী দল বা সংগঠনের মতো আপনাদেরও হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে এই মিছিল করতে হয়েছে। আপনাদের লড়াইতে জিততে হবে। এই লড়াই আপনারা জিতবেন।” শুভেন্দুর কথায়, মিছিলের অনুমতি পেতে যথেষ্ট বেগও পেতে হয়েছে আন্দোলনকারীদের। এরপরই নাম না করে একযোগে মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা যায় তাঁকে। কয়লা-বালি দুর্নীতির অভিযোগে তীব্র আক্রমণ শানান অভিষেকের বিরুদ্ধে। একহাত নেন পুলিশকেও। আক্রমণের ঝাঁঝ আরও খানিকটা বাড়িয়ে বলেন, “আমি তো গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বলব যেখানেই দুর্ঘটনা হবে, যেখানেই খুন হবে আমাকে খবর দেবেন। আমি দেহটা নিয়ে এই কালীঘাটের গলিতে ঢুকব।” প্রসঙ্গত, আন্দোলনের একশোতম দিনে মিছিলের অনুমতি মিললেও হরিশ মুখোপাধ্যায় রোডে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ। কিন্তু, মিছিল হবে সেই জায়গাতেই। অনুমতি পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। কয়েকদিন আগেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেই অনুমতি দিয়ে দেন।