দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- এখনই প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের নেতৃত্বাধীন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। ততদিন এই ৩২ হাজার শিক্ষক আগের মতোই চাকরি করবেন এবং বেতন পাবেন।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে ৩২ হাজার অপর্শিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হবে চার মাস পর। তবে এই চারমাস তারা প্রাথমিক শিক্ষকের বেতনের বদলে পার্শ্বশিক্ষকের বেতন পাবেন। আপাতত সেই নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নিয়োগের মধ্যে থেকে ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীনদের চাকরি বাতিল করা হয়। তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরোধিতায় ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
তাঁদের হয়ে মামলাটি লড়ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ডিভিশন বেঞ্চের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের পর তিনি বলেন, ‘এভাবে কী চাকরি খাওয়া যায় নাকি। আমরা বলছি, এই নির্দেশ বেআইনি।’ কল্যাণবাবু জানান, যেহেতু চাকরিহারাদের কথা না শুনেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ‘ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট’ শোনান, তাই এই স্থগিতাদেশ। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর। এদিকে আগামী চারমাস প্রাথমিক শিক্ষকের বেতনই পাবেন এই ৩২ হাজার শিক্ষক।এদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। ডিভিশন বেঞ্চ তার অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই কাজ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সকলেই অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। এদিকে চাকরি বাতিল না হলেও ৩২ হাজার শিক্ষককেও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে।