দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :-অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ছাড়াই নবম-দশমের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। মধ্য শিক্ষা পর্যদের রির্পোট দেখেই বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু| তাঁর পর্যবেক্ষণ, সিবিআই তদন্তে নতুন রসদ জোগাতে পারে এমন বিস্ময়কর তথ্য। সিবিআই এ ব্যাপারে আদালতে তার অবস্থান জানাক। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ছাড়াই ৭-৮ জনের চাকরি হয়েছে নবম-দশমে। এরকম আরও কতজনের হদিশ মিলতে পারে, প্রশ্ন বিচারপতির।
আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশন এর তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নবম-দশমে চাকরির জন্য ১৮৬ টি সুপারিশপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পর্ষদ জানায়, এসএসসি ভুল তথ্য দিয়েছে। ১৮৬ নয় ১৭৫ টি সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছে পর্ষদে। এছাড়া ৫২ সুপারিশপত্রের কোনও নথি নেই পর্ষদের কাছে। ৬৭ জন অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার সংগ্রহই করেনি, যা এখনও পড়ে আছে পর্ষদ অফিসে।শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে ওঠে নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি হয়। ওই শুনানিতে সামনে আসে দুর্নীতির নয়া ‘চ্যাপ্টার’। সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, এখনও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দপ্তরে পড়ে রয়েছে ৬৭টি অ্যাপয়নমেন্ট লেটার। অর্থাৎ নিয়োগপত্র ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। একথা শুনে বিস্মিত হন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “সিবিআই তদন্তে নতুন রসদ জোগাতে পাড়ে এমন বিস্ময়কর তথ্য। সিবিআই অবস্থান জানাক হাই কোর্টে।”