দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিয়ে শাসক তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে সকাল থেকেই অভিযোগ তুলছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বয়ং এই অভিযোগ তুলছেন। কিন্তু নিজের জেলা দক্ষিণ ২৪ দিনাজপুরে উল্টো চিত্র দেখলেন সুকান্ত। রাজ্য পুলিশের এক কর্মী সুকান্তের কাছে এসেই দায়িত্ব থেকে মুক্তির আর্জি জানালেন। জানালেন, ছাপ্পা ভোটে বাধা দেওয়ার জন্য তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে শাসকদলের নেতারা।
ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে বেরিয়ে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ‘আমাকে বাঁচান’, BJP সাংসদকে সামনে পেয়ে আর্তি রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র উর্দিধারীর। ভোটারদের সুরক্ষা যাদের হাতে সেই সশস্ত্র রাজ্য পুলিশই প্রাণভিক্ষা চাইছেন। পঞ্চায়েত ভোটে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী হল গোটা রাজ্য।সকাল ১০টা নাগাদ গঙ্গারামপুরের সুখদেবপুরে ১৭৬ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট পড়ছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সুকান্ত। তখনই রাজ্য পুলিশের কর্মী কৃষ্ণমোহন ঝাঁ সুকান্তের গাড়ির কাছে এসে কাতর স্বরে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আর্জি জানান। কৃষ্ণমোহন জানান তিনি শিলিগুড়ি কমিশনারেট থেকে এসেছেন। এই অঞ্চলের কাউকেই তিনি চেনেন না। তবে শাসকদলের লোকেরাই তাঁকে মেরে ফেলার জন্য শাসাচ্ছেন বলে অভিযোগ কৃষ্ণমোহনের। সেই সময়ে সুকান্তকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনার হাতে তো লাঠি রয়েছে, ব্যবহার করছেন না কেন।’’তিনি বলেন, ‘‘আমি সরতে চাইছি। আমি কী করব একা? আমায় হুমকি দিচ্ছে। আমি বলেছি, ছাপ্পা ভোট হতে দেব না। তখন বলেছে, ‘চুপচাপ থাকুন। না হয় এখান থেকে সরে যান। পুরোপুরি ছাপ্পা ভোট হবে।”একই সঙ্গে কৃষ্ণমোহন বলেন, ‘‘আমার লাইন সামলানোর কথা। কিন্তু বাধ্য হয়ে বুথের ভিতরে গিয়েছি। তার পরেই মেরে ফেলার হুমকি। আমি এখন এখান থেকে সরে যেতে চাইছি।’’