প্রসেনজিৎ ধর :- ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলামের গ্রামেই হেরে গেল তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড় ২ ব্লকের যে গুটিকয়েক গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের লড়াই করার কথা ছিল, তার মধ্যে একটি ছিল আরাবুলের গ্রাম পোলেরহাট ২। সেই গ্রামেই হেরে গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দুপুর ২টো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতে মোট ২৪টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসনের ফল ঘোষণা হয়েছে। তার মধ্যে ১৫টিতেই জিতে গিয়েছে শাসকবিরোধী জমি রক্ষা কমিটি এবং আইএসএফের জোট। তৃণমূল সেখানে এখনও পর্যন্ত স্রেফ একটিই আসনে জয়ী হয়েছে।জয়ের প্রবণতা স্পষ্ট হতেই গণনাকেন্দ্র ছাড়েন আরাবুল ইসলাম | পোলেরহাট ২ নম্বর অঞ্চলে হার স্বীকারও করে নেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। এবছর পোলেরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েতে এবার আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ২৪। সব আসনেই এবার লড়াই করে জমি রক্ষা কমিটি এবং আইএসএফ সমর্থিত নির্দলরা। জানা গিয়েছে, এই ২৪ আসনের বেশিরভাগেই জয়ী হয়েছেন জমি কমিটির নির্দলরা। ফলাফল স্পষ্ট হতেই এদিন গণনাকেন্দ্র ছাড়েন আরাবুল। তিনি স্বীকার করে নেন, পোলেরহাটের বেশিরভাগ আসনে পরাস্ত হয়েছে তৃণমূল। তবে তাঁর দাবি, ‘এমনটা হতেই পারে।’তাঁর গড়ে বিরোধীদের জয় নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “আমি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছি পোলেরহাট ২ কোনওমতে রক্ষা করা যাবে না। এখানে সাতটি প্রার্থী হেরেছে আমাদের। হতেই পারে। বাকি জায়গায় জিতেছি।” তিনি আরও বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের কর্মীদের উপর লাগাতার অত্যাচার হয়েছে। প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই জানতাম যে এখানে খারাপ ফল হবে।”একসময়ে ভাঙড়ের রাশ থাকত এই আরাবুলেরই হাতে। তবে ইদানীং ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়কের প্রতিপত্তিতে কিছুটা ‘টান’ পড়েছিল বলে মনে করছিলেন স্থানীয় নেতৃত্ব। কারণ যে ভাঙড়ে এক সময় পঞ্চায়েত ভোট একা হাতে সামলেছেন আরাবুল, সেখানে সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্যানিং ২-এর বিধায়ক শওকত মোল্লাকে। তাঁকে সাহায্য করার দায়িত্বও দেওয়া হয় বিধাননগরের পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তকে। আরাবুলকে আলাদা কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।