দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রাথমিক নিয়োগের তদন্তে নেমে এবার ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। আজ, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট জমা দেন ইডি’র আইনজীবী। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বাংলা সিনেমা এবং স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই ইডির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং নগদ অ্যাটাচ করা হয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণ টাকার কথা বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে জানান তাঁরা।অন্যদিকে সিবিআইয়ের সই করা রিপোর্টে কুন্তলের করা অভিযোগকে আজ ভিত্তিহীন বলে জানানো হল কলকাতা হাইকোর্টে। কুন্তল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে চাপ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে বলা হচ্ছে। এবার মুখবন্ধ করা খামে সিবিআই কুন্তল ঘোষের অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল।
এই নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছিল। আজ সেই সিটের রিপোর্ট জমা পড়ল। সিটের কর্তাদের দাবি, গোটা অভিযোগ ভিত্তিহীন।আর সংশোধনাগারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলে সিবিআই। নিয়ম হল, ১৮০ দিনের সিসিটিভি ফুটেজ যেখানে থাকার কথা সেখানে সাতদিনের বেশি ফুটেজ মেলেনি। বিচারপতি সিনহা এদিন জানতে চান, ‘এত টাকা যদি এই দুর্নীতি থেকে উঠে থাকে, তাহলে আপনারা এখনও এই দুর্নীতির কিংপিন কে, তাকে কেন খুঁজে পাচ্ছেন না?’ মামলাকারী রমেশ মালিকের আইনজীবী আদালতকে জানান, ৪২ হাজার ৯৪৯ জন এখনও চাকরি করছেন যাঁরা নিয়ম মেনে চাকরি পাননি। সেই প্রসঙ্গে আদালত সিবিআইকে নির্দেশ দেয়, ওই শিক্ষকদের মধ্যে কারা কারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তা অবিলম্বে খুঁজে বের করে তালিকা তৈরি করে আদালতে জমা দিক।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal